পটিয়া থানার সামনে বৈষম্যবিরোধীদের অবস্থান, ওসির অপসারণসহ ৪ দাবি

পটিয়া থানার সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
পটিয়া থানার সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রামের পটিয়া থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। বুধবার (২ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে তারা থানার প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন এবং ওসি জায়েদ নূরের অপসারণের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

ছাত্রজনতার অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দীপঙ্কর দে-কে আটক করে থানায় নিয়ে গেলেও, তার বিরুদ্ধে মামলা না থাকায় ওসি গ্রেপ্তার করতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা একপর্যায়ে সংঘর্ষে রূপ নেয়।

সংঘর্ষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী, এনসিপির মহানগর সংগঠক সাইদুর রহমানসহ কয়েকজন আহত হন। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পটিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা; হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক দায় স্বীকার এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্বচ্ছ পুলিশি আচরণবিধি নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি, পুলিশের এই আচরণ অনৈতিক, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের ক্লাসিক উদাহরণ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে প্রতিবাদ ও মত প্রকাশের অধিকার নাগরিকদের মৌলিক অধিকার, এবং সেই অধিকার চর্চা করতে গিয়েই শিক্ষার্থীরা পুলিশের বর্বরতায় আক্রান্ত হয়েছেন।

অবস্থানকালে সংগঠনটি চার দফা দাবি উত্থাপন করেছে। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পটিয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে জবাবদিহি নিশ্চিত করা; হামলায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান; আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক দায় স্বীকার এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে স্বচ্ছ পুলিশি আচরণবিধি নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ বলেন, ‘ওসি জায়েদ নূরের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমরা এখানেই থাকব।’

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তারা কিছু দাবি নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নিয়েছেন। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছি। আশা করছি, দ্রুত একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।’

এদিকে থানা চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ ফটক বন্ধ করে ভেতরে অবস্থান করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ