ইসলামি সংগীত প্রতিযোগিতার আয়োজনে প্রশংসায় ভাসছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদল

ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইসলামি নাশিদ অনুষ্ঠান
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের ইসলামি নাশিদ অনুষ্ঠান  © সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের কর্তৃক তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের পৃষ্ঠপোষকতায় নাশিদ ও ইসলামি সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে প্রশংসায় কুড়িয়েছে।

গত ২২ মার্চ (শনিবার) পবিত্র রমজান উপলক্ষে নাশিদ ও ইসলামি সংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব ঢাকা কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সেরা প্রতিযোগী শিক্ষার্থীদের বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ আয়োজনে শিক্ষার্থীদের প্রশংসায় ভাসছেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদল ও  তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশন। 

তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন হোসেন বলেন, আমি মনে করি ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ক্যাম্পাস তাদের হারারো ঐতিহ্য ও ভাবমূর্তি ফিরে পেয়েছে।আমরা দেখেছি বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে একটি মহল ক্যাম্পাস ভিত্তিক সুস্থ ধারার আয়োজন ও সুস্থ ধারার রাজনীতিকে কলুষিত করেছিলো। ছাত্রদল এ আয়োজনের মাধ্যমে গুণগত ধারার পরিবর্তন করেছে এবং ছাত্রদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।

ঢাকা কলেজ ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুলতানুল আরেফিন বলেন, ঢাকা কলেজ ছাত্র দলের আয়োজনে এবং তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশন এর সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে আয়োজিত মাহে রমজান উপলক্ষে নাশিদ ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতা২৫ এ অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও অভিভূত। ইতঃপূর্বে ঢাকা কলেজে অথবা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানে কোন ছাত্রসংগঠন দ্বারা এমন আয়োজন পরিলক্ষিত হয়নি। তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মিলন হোসেন ভাইয়ের এই আয়োজনকে ঢাকা কলেজের প্রতিটি ছাত্র ও শিক্ষক সাধুবাদ জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি ঢাকা কলেজের একজন ছাত্র হিসেবে মনে করি, এমন আয়োজন এবং ছাত্র কল্যাণমূলক কাজ ঢাকা কলেজ ছাত্রদল এবং তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশন অব্যাহত রাখবে এবং আয়োজনগুলো আরো বৃহৎ পরিসরে অনুষ্ঠিত  হবে। 

ঢাকা কলেজ রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের নাঈম ইসলাম বলেন, শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রদলের এমন ভিন্ন রকম আয়োজন সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। একজন সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে এমন আয়োজনে অংশগ্রহণ এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করাটা সত্যিই আমার জন্য আনন্দদায়ক ও ভবিষ্যৎ অনুপ্রেরণার সহায়ক উপাদান ছিলো। ভবিষ্যতেও প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের এমন ভিন্নরকম প্রশংসনীয়  আয়োজনের জন্য আশাবাদী  সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার মাধ্যমে আমরা আমাদের মেধা ও মননের বিকাশ ও সম্প্রসারণ ঘটাতে পারবো এবং এর মধ্য দিয়ে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির একটি সুন্দর নান্দনিক বিকাশ সাধন সম্ভবপর হবে  ইনশাআল্লাহ । সামগ্রিক সকল কিছুর জন্য ঢাকা কলেজ ছাত্রদল এবং বিশেষভাবে তারুণ্যের আলো ফাউন্ডেশন এর পরিচালক মিলন হোসেন ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!