শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সুপারিশ: প্রতিবাদ ছাত্র ফ্রন্টের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:০৮ PM , আপডেট: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:১২ PM

সম্প্রতি অন্তবর্তীকালীন সরকারের অর্থনীতি কৌশল পুনঃনির্ধারণ টাস্কফোর্স শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সুপারিশ করেছে। আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সালমান সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক রাফিকুজ্জামান ফরিদ এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতি বলা হয়, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধের সুপারিশ অনভিপ্রেত এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থি। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং রাজনীতি ও সংগঠন করার অধিকার নিশ্চিত করা জরুরি।’
তারা বলেন, অতীতে সরকার ছাত্র সংগঠনগুলোর সন্ত্রাস ও দখলদারিত্বকে ছাত্ররাজনীতির চিত্র হিসেবে তুলে ধরে প্রকৃত নীতিনিষ্ঠ ছাত্ররাজনীতিকে রুদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র সংগঠনগুলো ছাত্র-জনতার সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছিল, যার ফলে হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। তাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের এ সুপারিশ প্রকৃতপক্ষে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিকভাবে দিশাহীন করার এবং অভ্যুত্থানের চেতনাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের দুঃশাসন, দুর্নীতি ও লুটপাটে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হয়েছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, শ্রমিক ছাঁটাই ও কৃষকদের ঋণগ্রস্ত হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষ চরম সংকটে রয়েছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ হওয়া উচিত দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনা, পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করা, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করা এবং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করা। অথচ এসব উদ্যোগ না নিয়ে উল্টো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বৈরতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করতে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পাঁয়তারা করা হচ্ছে।’
তারা অবিলম্বে এই সুপারিশ বাতিলের দাবি জানান এবং ছাত্রসমাজসহ গণতান্ত্রিক চেতনার মানুষদের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।