আহতরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেউ নয়: বিবৃতি

আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে  © টিডিসি সম্পাদিত

যাত্রাবাড়ী থেকে আসা একদল যুবককে কেন্দ্রীয় অফিসে শাটার বন্ধ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারীসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তবে আহতরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেউই নয় বলে বিবৃতি দিয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া প্ল্যাটফর্মটি।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।   

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য দায়ী ব্যক্তিরা কেউ কেউ গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী থাকলেও, কেউই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সাংগঠনিক পরিসরে যুক্ত নয়। ঢাকা মহানগরের দায়িত্বশীল এবং ঘটনাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত নির্বাহী সদস্যদের সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে তদন্ত কাজে নিয়োজিত আছে। তদন্ত শেষে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাংলামোটরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিপথগামী কয়েকজন মানুষ এসে বিভিন্ন অপ্রীতিকর স্লোগান দিতে থাকে। একসময়ে তারা জোর-জবরদস্তি করে কার্যালয়ের ফটক বন্ধ করে দেয়। এতে অফিস রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে তৎক্ষণাৎ কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রিফাত রশিদ, আহনাফ সাঈদ খান, নাঈম আবেদিন, আসাদ বিন রনি সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে আগত ব্যক্তিদের দাবি-দাওয়া শুনতে চান। কিন্তু, তারা সহযোগিতার বদলে নির্বাহী সদস্যদের উপরেও চড়াও হন। নির্বাহী সদস্য নাঈম আবেদিন এতে আহত হন। পরবর্তীতে অন্যান্য নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগমন করলে পরিস্থিতি উত্তপ্তকারীদের কার্যালয় ত্যাগে বাধ্য করা হয়। 

এতে আরও বলা হয়, সহিংসতার বদলে সৌন্দর্য এবং সম্প্রীতির বিকাশ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাথেয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে, সাংগঠনিক সকল সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব। আলোচনার বদলে যারা সহিংসতার পথ বেছে নিবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তাদের বিষয়ে বিন্দুমাত্র সহানুভূতি প্রদর্শন করবে না। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী প্ল্যাটফর্ম। সেহেতু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সারা দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষাও বেশি। আমরা ছাত্র-জনতার প্রতি দায়বদ্ধ এবং তাদের অনুভূতির বিষয়ে পরিপূর্ণ সজাগ। একইসঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তু বিনির্মাণের জন্য বদ্ধ পরিকর। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তে সহিংসতার বদলে সংহতি এবং সম্প্রীতি প্রাধান্য পাবে।

জানা যায়, এর আগে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শাটার বন্ধ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নারীসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল আমিন তালুকদার, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান সরকার, সদস্য রাবেয়া আক্তার, বাবু, মাসুদ, ফারহান, সঞ্জিদ, রামিমসহ অন্তত  ১০ জন। দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান হোসেন।

তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে সমন্বয়ক রিফাদ রশীদ বলেন, আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। যাত্রাবাড়ীর একটা গ্রুপ এসে এখানে ঝামেলা করছে। ছাত্র অধিকার পরিষদের একটা গ্রুপ এই কাজ করেছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, বাংলামোটর থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে এসেছে। তাদের সবার চিকিৎসা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence