বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৩ PM
আন্দোলনে অংশ না নেওয়া অছাত্র ও বহিরাগতদের দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম জেলার কমিটি গঠন করার অভিযোগ উঠেছে। কমিটিতে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের প্রথম সারির সংগঠকদের নাম না থাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আজ রবিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেছেন কুড়িগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত হন জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জড়িত কুড়িগ্রামের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি সেখান থেকে শুরু হয়ে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এতে আন্দোলনকারী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বর্তমান কমিটিতে স্থান অনেকেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ছাত্রলীগের সাথে জড়িতদেরও কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রকৃত আন্দোলনকারীরা কমিটিতে জায়গা পায়নি। এই কমিটি শিবিরের আদলে তৈরি করা এবং কমিটি তৈরিতে হস্তক্ষেপ করেছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আতিক মুজাহিদ বলে অভিযোগ করেন বক্তারা।’
বক্তাদের দাবি, ‘আন্দোলনের নেতৃত্বে না থাকা সত্ত্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটির কুড়িগ্রামের আহ্বায়ক করা হয়েছে আবদুল আজিজকে। সে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রশিবিরের কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখার অফিস–বিষয়ক সম্পাদক পদে রয়েছেন।’
‘বিদেশে অবস্থান করেছেন এমন ব্যক্তি ও শিক্ষাজীবন শেষ করেছেন এমন অছাত্রদের নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটিতেও তাঁদের লোকজনের সহায়তায় মূল আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে কমিটি ঘোষণা করা হয়। তাই আন্দোলনকারী সব শিক্ষার্থী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা এই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কমিটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে জানান বক্তারা।
কমিটি বাতিল করে যাচাই–বাছাইয়ের পর প্রকৃত আন্দোলনকারীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠন করার দাবি জানিয়েছেন সমাবেশে অংশ নিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটিতে স্থান পাওয়া দুই সদস্য শিপন সরকার ও আশরাফুল আলম।
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম সারির সংগঠক কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিপন সরকার, আশরাফুল আলম, কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের আল আকসা সৌখিন, কুড়িগ্রাম সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের নাজমুস সাকিব শাহী, কুড়িগ্রাম সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বর্ষণ বেনজির, জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
অভিযোগের বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুড়িগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক আবদুল আজিজ বলেন, ‘কমিটি করার পেছনে আমাদের কোনো হাত নেই। কেন্দ্র থেকেই এই কমিটি দেওয়া হয়েছে। যে-সব অভিযোগ করা হয়েছে সব ভিত্তিহীন। আমি শুরু থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পূর্ণভাবে ছাত্রদের অধিকারের জন্য কাজ করেছি।’