এক মাসের মাথায় অজ্ঞাত স্থান থেকে ফের বিবৃতি সাদ্দাম-ইনানের

সাদ্দাম ও ইনান
সাদ্দাম ও ইনান  © সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঘিরে বিচারিক প্রহসন বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ফের অজ্ঞাতস্থান থেকে এক মাসের মাথায় ফের বিবৃতি দিয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে ছাত্রলীগের হোয়াসঅ্যাপ গ্রুপে দেওয়া যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, অবৈধ সরকার সরাসরি পরিচালিত ও প্রযোজিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারিক প্রহসনের তামাশা মঞ্চস্থ হতে শুরু করেছে। জনগণের নির্ভরতা ও নিশ্চয়তার প্রিয় ঠিকানা শেখ হাসিনাকে ঘিরে কোনো ষড়যন্ত্রই বরদাশত করবে না বাংলাদেশের মানুষ। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমেই সব অপচেষ্টা রুখে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।‘

বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ ও আইনি সমাধানের প্রক্রিয়াকে পাস কাটিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী-মৌলবাদী-দেশবিরোধী সংগঠনের প্রশিক্ষিত ক্যাডারবাহিনী, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিচালিত তাণ্ডবের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না মর্মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ। আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের নবতর সংস্করণ চালু, কারাগার থেকে অপরাধীদের মুক্তি, বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রকৃত উদ্দেশ্য গণতন্ত্রকামী ছাত্রসমাজের কাছে দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে।’

এতে আরও বলা হয়, ’শেখ হাসিনার সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ এবং জাতিসংঘকে পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিলেন। আইনানুগ প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার মাধ্যমে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার ‘মেটিকুল্যাসলি প্ল্যানড’ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে চায়। পঁচাত্তরের ইনডেমনিটি খুনিদের সুরক্ষাকবচ হতে পারেনি, চব্বিশের দায়মুক্তিও খুনিদের সুরক্ষা দিতে পারবে না।’

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আড়ালে রয়েছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা। এদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের কোনো অবস্থান জানা যায়নি।

সরকার পতনের দীর্ঘদিন পর প্রথমবার ২২ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে সেদিন বিবৃতি দিয়েছিলে সাদ্দাম ও ইনান। এর এক মাসের মাথায় আজ আবারও অজ্ঞাত স্থান থেকে বিবৃতি দিলেন এ দুইজন।


সর্বশেষ সংবাদ