ফ্যাসিবাদের প্রথম বীজ বপন করেছিল শেখ মুজিব: মাহমুদুর রহমান

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান
আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান  © ফাইল ফটো

১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমান গণতন্ত্রকে মুছে দিতে ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করলেন। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের জমিনে ফ্যাসিবাদের বীজ বপন করা হয়েছিল। ফ্যাসিবাদের বীজ মহিরুহে পরিণত হতে ৩৫ বছর সময় লেগেছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা সেই ফ্যাসিবাদের সরকার দেখলাম। যার বীজ বপন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে বাকশালের মাধ্যমে।

আজ রবিবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ‘ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক ডায়ালগে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান। 

আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহমুদুর রহমান বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুকে দেবতার আসনে বসানো শুরু হল। ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবের অযোগ্য সরকারের বণ্টনের অভাবে এবং দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুবরণ করল। শহরে গ্রামগঞ্জে অসংখ্য মানুষের লাশ পড়েছিল। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর ফলে নার্ভাস হয়ে শেখ মুজিব গণতন্ত্রকে মুছে দিতে ‘বাকশাল’ প্রতিষ্ঠা করলেন। বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বৈরতন্ত্রের জমিনে ফ্যাসিবাদের প্রথম বীজ বপন করলেন শেখ মুজিব। ফ্যাসিবাদের বীজ মহিরুহে পরিণত হতে ৩৫ বছর সময় লেগেছে। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত আমরা সেই ফ্যাসিবাদের সরকার দেখলাম। যার বীজ বপন করা হয়েছিল ১৯৭৫ সালে বাকশালের মাধ্যমে। সেই ফ্যাসিবাদ মহিরুহে পরিণত হয়েছে ২০২৪ সালে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ তৈরির জন্য পাঁচটি উপকরণের প্রয়োজন। তার মধ্যে অন্যতম হলো রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। অর্থাৎ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির গেস্টাপো বাহিনী এবং ব্রাউন শার্ক। গণহত্যায় গ্যাসটাপো ও ব্রাউন শার্কের বাহিনীর মাধ্যমে ইহুদি নিধন করা হয়েছিল। জার্মানির ব্রাউন শার্কের সাথে বাংলাদেশের ছাত্রলীগের কোন পার্থক্য নেই।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা শুরু হলো এবং এক ব্যক্তির বন্দনা করা আরম্ভ হল। যার স্বাধীনতা সংগ্রামের স্টেজে ভূমিকা ছিল কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে কোনো ভূমিকা ছিল না। তার নাম হল শেখ মুজিবুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র জিয়াউর রহমান, জেনারেল ওসমানী, তাজ উদ্দিন আহমেদ, মাওলানা ভাসানীসহ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলো ভুলিয়ে দেওয়া শুরু হলো।এক ব্যক্তির বন্দনা করা আরম্ভ হলো। ১৯৭২ সালে জাতীয় রক্ষী বাহিনী তৈরি করা শুরু করলেন শেখ মুজিব। বাংলাদেশে প্রথম এ রক্ষী বাহিনীর মাধ্যমে গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা শুরু হল।১৯৭২ সালে বাংলাদেশে প্রথম কারচুপির নির্বাচন ও শুরু করেছিলেন শেখ মুজিব।

‘ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্তৃক আয়োজিত ‘ফ্যাসিবাদ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক ডায়লগে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদী এবং ডায়ালগ ফর ডেমোক্রেসির আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ আরমান।


সর্বশেষ সংবাদ