হাসনাত আব্দুল্লাহর আসলে কি হয়েছে?

আহত হাসনাত আবদুল্লাহ
আহত হাসনাত আবদুল্লাহ  © টিডিসি

রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান জানান, হাসনাতকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি এখন শংঙ্কামুক্ত এবং ভালো আছেন।

পরিচালক আরও বলেন, উনি বর্তমানে স্ট্যাবল আছেন। ওনার শরীরের বাইরের দিকে কোথাও কোনো কাটাছেঁড়া বা আঘাত নেই। তবে উনি মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন। আমাদের চিকিৎসকরা ওনাকে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।

তবে সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে জানা যায়, হাসনাত আব্দুল্লাহকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যেকারণে প্রশ্ন উঠেছে হাসনাত আব্দুল্লাহর আসলে কি হয়েছে? চিকিৎসক শংঙ্কামুক্ত বলার পরেও কেন তাকে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়? 

এবিষয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, হাসনাত আব্দুল্লাহর বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছি। এখন তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে। আরও ৪৮ ঘণ্টা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখতে হবে। এরপর হাসপাতাল থেকে তাকে রিলিজ দেওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এদিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ একাধিক উপদেষ্টা হাসনাত আব্দুল্লার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। এছাড়াও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ঢামেকে গিয়ে আহত হাসনাতের চিকিৎসার খোঁজ-খবর নেন এবং দ্রুত সুস্থতার জন্য মহান রবের কাছে দোয়া করেন।

এর আগে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ও আনসার প্রতিনিধিদের দাবিদাওয়া মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

আন্দোলনের একপর্যায়ে টানা ১১ ঘণ্টা সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবরুদ্ধ রাখে আনসার সদস্যরা। সেখানে বিক্ষুব্ধ আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সমন্বয়কসহ অনেকে আহত হন। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সচিবালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় আনুমানিক ৩০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ