জবি ছাত্রলীগ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের মারামারিতে আহত ৪

  © প্রতীকী ছবি

সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই গ্রুপের মোট চারজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শনিবার (১ জুন) রাতে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে ও ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে এ মারামারির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে প্রথম মারামারির সূত্রপাত হয়। এ সময় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মীরা রড, হাতুড়ি ও ইট দিয়ে জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীর ফরাজির কর্মী মেহেদী হাসান মিরাজসহ তার বন্ধুদের মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এরপর তাদের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নেওয়া হলে সোহরাওয়ার্দী-সূত্রাপুর ছাত্রলীগের কয়েকজন হাসপাতালের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসেন। খবর পেয়ে জবি থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি-সেক্রেটারি গ্রুপের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী রড, লাঠি ও জিআই পাইপ নিয়ে এসে তাদের ওপর হামলা করেন। এতে সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুই কর্মী গুরুতর আহত হন।

পরবর্তী সময়ে আবার জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজ, পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্ক এলাকায় লাঠিসোঁটা নিয়ে শোডাউন দিয়ে বিপক্ষ গ্রুপকে খুঁজতে থাকে। জবি ছাত্রলীগের ১৩ ব্যাচের চয়ন, রহিম, ১৭ ব্যাচের জাসহ অনেকে শোডাউনের নেতৃত্ব দেন। এ ঘটনায় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। একজনকে আটকও করা হয়। পরে রাতে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইন খবর পেয়ে জবি ক্যাম্পাসে আসেন।

মারামারিতে আহত জবি ছাত্রলীগের সভাপতি গ্রুপের কর্মী ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, আমি পুরান ঢাকার স্থানীয়। গতকাল রাতে জগন্নাথের ৫-৬ জন ও পুরান ঢাকার আরও ৫-৬ জন বন্ধুরা মিলে সোহরাওয়ার্দী কলেজের সামনে আমরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। এ সময় আমার বন্ধু আকাশের (বাবু বাজারে ব্যবসা করে) সঙ্গে পুরোনো শত্রুতার জের ধরে তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এ সময় আমার কয়েকজন বন্ধু মার খেয়ে দৌড় দেয়। একা পেয়ে আমাকে ও আমার বন্ধু সাব্বিরকে (জুবিলি স্কুলে পড়ালেখা করেন) মেরে গুরুতর আহত করে। এরপর আমাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ওই গ্রুপের কয়েকজন হাসপাতালে আমাদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে আসে। মনে করছে জগন্নাথের কেউ নেই। তবে, খবর পেয়ে ফরাজী ভাইয়ের গ্রুপের আমার বড় ভাইয়েরা আসে। তখন বিপক্ষ গ্রুপের সিয়াম ও ফয়সাল নামে দুইজন মার খেয়েছে।

বিপক্ষ গ্রুপের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা কেউ সোহরাওয়ার্দী ছাত্রলীগের, আবার কেউ সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের কর্মী। তাদের নেতা আলী আজম খাঁন। আর আজিম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফাহাদ বিল্লালের রাজনীতি করে। 

জানা যায়, আজম সূত্রাপুর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পড়ালেখা করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজে। এদিকে, ঘটনাস্থল থেকে শান্ত নামে মেহেদীর এক বন্ধুকে আটক করেছে সূত্রাপুর থানা পুলিশ। 

জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, এই ঘটনার সাথে জবি ছাত্রলীগের কোনও সম্পর্ক নেই। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী জড়িত ছিল, অনেকে আহত হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে জবি ছাত্রলীগ না।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence