ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করছে ছাত্রলীগ, ক্রেতাদের ভিড়
- এস আর দুর্জয় দাস
- প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:০৩ PM , আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩, ০৬:০৭ PM
চট্টগ্রামের কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি কিনে তা ন্যায্যমূল্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছে বিক্রি করছে বায়েজিদ থানা ছাত্রলীগ। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে শুক্রবার সকালে নগরীর সংগঠনটির দলীয় কার্যালয়ের সামনে ন্যায্যমূল্যে এসব সবজি বিক্রি করেন তারা। এতে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেছে।
এ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাহ্উদ্দিন, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আইয়ুব মুন্না, মফিজুর রহমান মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সোহেল, চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাহাত আমিন শিবলী প্রমুখ।
এ সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ন্যায্য মূল্যে সবজি কিনতে এসেছেন। তারা তাদের মত দেখে শুনে প্রয়োজনীয় সবজিটি কিনে নিচ্ছেন। আর ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এই সবজি বিক্রি করছেন। এসময় জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ন্যায্যমূল্যে এটি বিক্রি করছি। যাতে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের কারণে সাধারণ মানুষের কোন ভোগান্তি না হয়। বিএনপি-জায়ামাত জ্বালাও পোড়াও করে দেশে অগ্নিসন্ত্রাস করছে। তাদের এই হরতাল-অবরোধের কারণে সারাদেশে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তারা বলেন, এ ছাড়া কিছু অসাধু ব্যবসায় সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সবজির দাম বৃদ্ধি করেছে। এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। সেদিক বিবেচনা করেই কেন্দ্রের নির্দেশনায় ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করছি।
শীতকালীন এসব শাক-সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন ২০ টাকা, সিম ২০ টাকা, চিচিঙ্গা ২০ টাকা, গাজর ১০০ টাকা কেজি এবং প্রতি পিস লাউ ৩০ টাকা, ফুলকপি ১০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ২০ টাকা করে বিক্রি করেছে সংগঠনটি।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সালাহ্উদ্দিন জানান, যেকোনো সংকটে আওয়ামী লীগ পরিবার সাধারণ মানুষের পাশে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ যতদিন থাকবে, ততদিন আমরা ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রি করব।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়তের অবরোধ কর্মসূচি ইতিমধ্যে হাস্যকর আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। তাদের এই আন্দোলন থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা কখনোই প্রতিহিংসা রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। এছাড়া যারা বাজারে অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী, তাদেরও কঠিন জবাব দেওয়া হবে।
ছাত্রলীগের ন্যায্যমূল্যে সবজি কিনতে আসা মো. রুহুল আমিন পেশায় গার্মেন্টস কর্মী। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের এ উদ্যোগের ফলে আমরা সস্তায় সবজি কিনতে পারছি। এতে আরা খুশি। এটা চলমান থাকা উচিত। কয়েকদিন চালিয়ে যদি এটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাহলে প্রান্তিক মানুষ সুফল পাবে না। তারা যদি এ উদ্যোগ অব্যাহত রাখে তাহলে আমাদের মতো প্রান্তিক মানুষগুলো উপকৃত হবে।