মনোনয়নপত্রে স্থানীয় রাজনীতিতে জানান দিচ্ছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা

মনোনয়নপত্র নিচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা
মনোনয়নপত্র নিচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা  © টিডিসি ফটো

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় রাজনীতি নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা। এদিকে গত শনিবার থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হয়ে শেষ হয় আজ মঙ্গলবার। এতে মোট ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে বলে জানা গেছে। এরমধ্যে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সাবেক ছাত্রলীগের শতাধিক তরুণ নেতা। এসব মনোনয়নপ্রত্যাশীরা জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী যদি তরুণদের সুযোগ দেয় তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করা হবে। 

জানা গেছে, ১৯৪৮ থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ৩১টি কমিটি হয়েছে। এ সময় ছাত্রলীগের সাবেক অনেক নেতা সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় নির্বাচন ব্যবসায়ীদের মনোয়ন দেওয়ার একটা রীতি তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে। তবুও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোয়ন পেতে দৌড়ঁঝাপে কমতি নেই ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের।   

জানা গেছে, আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি হতে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। তবে অনেকে মনোয়ন তুলছেন স্থানীয় রাজনীতিতে প্রবেশের অংশ হিসেবে। অনেকে নিজেদের এলাকায় পরিচিত করতে মনোনয়ন সংগ্রহ করছেন। এছাড়াও সাবেক ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতার মনোনয়ন পাওয়ার ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।  

আওয়ামী লীগের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চারদিনে ৩ হাজার ৩৬২টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে। এর মধ্যে অনলাইনে ১২১টি ফরম কিনেছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হয়।  

মনোনয়নপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক কয়েকজন তরুণ নেতা হলো, গাইবান্ধা-৫ আসনে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন, চট্টগ্রাম-৬ আসনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, রাজবাড়ী-২ আসনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ সোহেল রানা টিপু, বাগেরহাট-৪ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ, মৌলভীবাজার-১ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, কুড়িগ্রাম-১ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন, মাদারীপুর-২ আসন থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী, বরিশাল-৩ থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, যশোর-৫ থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য, বরিশাল-২ থেকে  ঢাবির ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবিদ আল হাসান, নরসিংদী-১ থেকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দারুস সালাম শাকিল, কুড়িগ্রাম-৪ আসন থেকে ছাত্রলীগের উপ-আইন সম্পাদক বিপ্লব হাসান পলাশসহ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতা মনোয়ন সংগ্রহ করেছেন।   

মনোনয়নের বিষয়ে জানতে চাইলে, যশোর-৫ থেকে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণরা ভূমিকা রাখতে পারে। এ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে তরুণদের প্রয়োজন। আমি আশাবাদী গতবার প্রধানমন্ত্রী তরুণদের মূল্যায়ন করেছেন এবারও আশা করি তরুণদের মূল্যায়ন করা হবে। আমাকে যদি সুযোগ দেওয়া হয় তাহলে আমি এলাকার জন্য কাজ করব। অন্য কাউকে মনোয়ন দেওয়া হলে তার পক্ষে কাজ করব। 

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ এস এম জাকির হোসেন বলেন, করোনার সময়ে এলাকায় কাজ করেছি। বন্যার সময়ে কাজ করেছি। প্রধানমন্ত্রী যদি সুযোগ দেয় তাহলে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করবো। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে তরুণরা সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারবে। 

তফসিল অনুযায়ী, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। 


সর্বশেষ সংবাদ