ইউএনওর চিঠি জাল করায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৩, ১১:৪৩ PM , আপডেট: ০৮ মে ২০২৩, ১১:৪৩ PM
সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (০৮ মে) গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের নীতি, আদর্শ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় চৌধুরী সেলিম আহম্মেদ ছোটনকে (সভাপতি, কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগ) উক্ত পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ রাজৈর-কোটালীপাড়া সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ করার লক্ষ্যে সড়কের দুই পাশের গাছ টেন্ডারের মাধ্যমে কর্তনের জন্য গত ১০ এপ্রিল সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে একটি চিঠি দেয়। ওই চিঠিটি কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন সুকৌশলে সংগ্রহ করে সামাজিক বন বিভাগের ফরিদপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তার নামের স্থলে জেলা প্রশাসক গোপালগঞ্জ বসিয়ে একটি জাল চিঠি তৈরি করেন।
চিঠিটি গোপালগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের হাতে পৌঁছানোর পরে তিনি ওই চিঠি সম্পর্কে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে মৌখিকভাবে জানতে চান। ফেরদৌস ওয়াহিদ ওই চিঠিটি জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠাননি বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকে জানান। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকের নির্দেশে ফেরদৌস ওয়াহিদ তদন্ত শুরু করলে কোটালীপাড়া পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটনের চিঠি জাল করার বিষয়টি বেরিয়ে আসে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন জাল চিঠির দায় স্বীকার করে কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদের কাছে লিখিত একটি মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেন ইউএনও ফেরদৌস ওয়াহিদ।
গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমির হামজা জানান, বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতা চৌধুরী সেলিম আহমেদ ছোটন এর আগেও এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। কিছু দিন আগে কোটালীপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার চিঠি জাল করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হলো।