মঞ্চ ভাঙার রেশ কাটিয়ে বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা ছাত্রলীগের

বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা ছাত্রলীগের
বণার্ঢ্য শোভাযাত্রা ছাত্রলীগের  © সংগৃহীত

রং-বেরংয়ের পোশাকের সঙ্গে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। আজ শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে থেকে সংগঠনের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ শোভাযাত্রা বের হয়।

পরে এটি শাহবাগ, মৎস্য ভবন হয়ে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

এর আগে শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মঞ্চে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য দেওয়ার সময় সেটি হঠাৎ ভেঙে যায়। নেতাদের ভিড়ে ভেঙে যাওয়া এ মঞ্চ থেকে পড়ের গিয়ে আটজন নেতা আহত হন। পরে পুলিশ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পাশে দাঁড়িয়েই ওবায়দুল কাদের বক্তব্য শেষ করেন।

সেখানে তিনি বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী ছাত্রলীগ করতে গিয়ে বিভিন্নভাবে আহত হন তারা। অনেকেই রক্তাক্ত হয়েছিলেন, গুরুতর আহত হয়েছেন। ফলে মঞ্চ ভেঙে পড়াকে স্বাভাবিক হিসেবে নেন কাদের। তবে আমি বলব, এই যে নেতাদের মঞ্চে ওঠা, এত নেতা আমার দরকার নাই। আমাদের আরও কর্মী দরকার। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট কর্মী দরকার।

সংগঠনটির সমালোচনা করে এসময় তিনি বলেন, যে কোনো অনুষ্ঠানে গেলে সামনের লোকের চেয়ে মঞ্চে লোক বেশি। এত নেতা কেন? নেতা উৎপাদনের এত বড় কারখানা আমাদের দরকার নাই।

মঞ্চ ভেঙে যাওয়ার আগের বক্তব্যে কাদের বলছিলেন, এই জনপদে দুজন মানুষ কোনোদিন মরবেন না। একজন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতা দিয়ে তার যে উত্তারাধিকার সেই উত্তারাধিকারের মৃত্যু নেই। মৃত্যু নেই শেখ হাসিনার। মুক্তির কাণ্ডারি তিনি।

“বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিয়েছেন এবং মুক্তির পথে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। লিগ্যাসি অব বঙ্গবন্ধু উইল নেভার ডাই। লিগ্যাসি অব শেখ হাসিনা উইল নেভার ডাই।”

এ সময় ছাত্রলীগের নতুন কমিটিকে দ্রুত পূণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার নির্দেশনা দেন কাদের। তিনি বলেন, কমিটি হয়েছে প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির। বাকি কমিটি পূর্ণাঙ্গ করতে যেন প্রলম্বিত হয়ে না যায়। অনেক কর্মী আশা নিয়ে বসে আছে। তাদের প্রোভাইড করুন। দেরি করার কোনো সুযোগ নেই।


সর্বশেষ সংবাদ