ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২২, ০৬:২০ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ০১:২৭ PM
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে জগন্নাথ হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এর আগে দুপুরে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৫ জানুয়ারি গ্রেফতার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
এরই প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল সভাপতি মোঃ খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার জনাব তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এযাবৎ অসংখ্য ষড়যন্ত্র করে আসছে, এসব করে জনাব তারেক রহমানের জনপ্রিয়তাকে এক বিন্দুও ক্ষুন্ন করতে পারেনি এবং পারবেও না বরং তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারা বাংলাদেশের মুক্তিকামী জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে জেগে উঠেছে এই ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল এই ফরমায়েশি রায়ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এবং আগামীর বাংলাদেশ হবে তারেক রহমানের বাংলাদেশ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, এই নিশিরাতের লুটেরাজ সরকার দেশনায়ক তারেক রহমান ও ডা.জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ফরমায়েশি রায় ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করল এই সরকার নিজেরা আজ দেশের সব টাকা পাচার করে, রিজার্ভ শুন্য করে তারা তাদের অপকর্মকে ঢাকার জন্য উদুর পিন্ডি বুদুর ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল তা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছে।অচিরেই এই অবৈধ অগণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতাচুত্য করে,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনবে ইনশাআল্লাহ।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদেলের সহ সভাপতি মোঃ মশিউর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আবদুল জলিল আমিনুল, মাসুম বিল্লাহ (এফআর),মোঃ তরিকুল ইসলাম তারিক, মোঃ নাছির উদ্দীন শাওন, গাজী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, শামীম আক্তার শুভ, আবু হান্নান তালুকদার, ইউসুফ হোসেন খান, সৈকত মোর্শেদ, নাজমুস সাকিব, কাইয়ুম উল হাসান, শাহিনুর রহমান শাহিন, আজিজুল হক, প্রচার সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক, দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াজ মোঃ ইমন, কর্মী মাহমুদুল হাসান, বিজয় ৭১ হলের সিনিয়র সহ সভাপতি সাইফ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকিব জাভেদ রাফি, সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন পলাশ, কর্মী আহসান হাবিব রায়হান, জসীমউদদীন হলের জুবায়ের আলী, মাস্টার দা সূর্যসেন হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মানিউল আলম পাঠান শান্ত, কর্মী আসিফ মাহমুদ আকাশ, হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিনহাজুল হক নয়ন, স্যার এ এফ রহমান হলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হায়াত মোহাম্মদ জুলফিকার জেসান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জারিফ রহমান, প্রচার সম্পাদক হাসিবুল হাসান রাসেল, কর্মী রাফসান জানি পরশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মোঃ আবদুল্লাহ সাব্বির, কর্মী নাসির উদ্দীন, এস এম হলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইমন মিয়া, ক্রীড়া সম্পাদক সাকিব, একুশে হলের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাপ্পি প্রমুখ।
দুদকের মামলার অভিযোগে বলা হয়, ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।