বৃষ্টি ও রেলে নাশকতার মধ্যেই ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র জমকালো শুরু
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২০ PM , আপডেট: ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২:২০ PM
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে জমকালো আয়োজনে উদ্বোধন হলো ২০২৪ সালের অলিম্পিকের। হাজার হাজার ক্রীড়াবিদের সিন নদীতে মার্চ পাস্টের পাশাপাশি ব্রিজ, নদী তীর ও ছাদগুলো থেকে লাইভ পারফরমেন্সে হয়ে গেলো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। স্টেডিয়ামের পরিবর্তে নদীপথে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’।
প্রায় চার ঘণ্টার অনুষ্ঠানে মশাল প্রজ্বলন করেন ফরাসি জুডো গ্রেট টেডি রাইনার ও স্প্রিন্টার ম্যারি-হোসে পেরেক এবং তারপর প্যারিসের আকাশে সেটি ওড়ানো হয় গরম বাতাসের বেলুনে। ৮৫টি নৌকা ও বার্জে করে ৬ হাজার ৮০০ অ্যাথলেটের ২০৫টি দল মার্চপাস্টের আগে অস্টারলিৎয সেতু থেকে লাল, সাদা ও নীল রংয়ের আতশবাজি ছিলো চোখ ধাঁধানো।
অনুষ্ঠানজুড়ে সারপ্রাইজ পারফরমেন্স ছিলো আমেরিকান শিল্পী লেডি গাগার। আর সঙ্গে ছিল কানাডিয়ান আইকন সেলিন ডিওনের আবেগময় প্রত্যাবর্তন। তবে দিনটি শুরু হয়েছিলো ফ্রান্সের রেল নেটওয়ার্কে হামলার ঘটনা আর বৃষ্টির মধ্য দিয়ে। তুমুল বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান পরিকল্পনাতেও কিছুটা পরিবর্তন আনতে হয়েছে।
বৃষ্টির কারণে অ্যাথলেটদের রেইনকোর্ট ও ছাতা বহন করতে হয়েছে পরিকল্পিত পোশাকের সাথে। তা সত্ত্বেও প্রায় দুই হাজার সঙ্গীতশিল্পী, নৃত্যশিল্পী ও অন্য কলাকুশলীদের মাধ্যমে ফরাসি ইতিহাস, শিল্পকলা ও ক্রীড়াকে তুলে ধরার প্রাণবন্ত আয়োজন মোটেও বাধাগ্রস্ত হয়নি। নৌপথে প্যারেডের শেষ দুটি নৌকা ছিল– প্রথমটি ২০২৮ সালের আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র আর তারপরেরটি ফ্রান্সের, যেখানে বেশ বড় সংখ্যার অ্যাথলেটরা ছিলেন।
হেলেন গ্লোভার আর টম ড্যালি গ্রেট ব্রিটেনের পতাকা বহন করেছেন প্যারিসে, যেখানে তৃতীয়বারের মতো এটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে একশ বছরের মধ্যে এই প্রথম অলিম্পিক আয়োজন করছে দেশটি। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই ৩৩তম অলিম্পিক শুরু হলো। ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) প্রেসিডেন্ট থমাস বাখ অ্যাথলেটদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তারা এখন এমন একটি অনুষ্ঠানের অংশ যা পুরো বিশ্বকে শান্তিতে ঐক্যবদ্ধ করে।
আরো পড়ুন: প্রথম ক্লাব হিসেবে ১০০ কোটি ইউরো আয়ের রেকর্ড রিয়ালের
১০ হাজার ৫০০ এর বেশি অ্যাথলেট ৩২টি ক্রীড়া ইভেন্টে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে এবার, যার সমাপ্তি হবে আগামী এগারই অগাস্ট। অলিম্পিকের এবারের শুরুর দিনটা প্যারিসের কেন্দ্রের সড়কগুলো ছিলো ব্যারিকেড দেয়া, মেট্রো স্টেশন ছিলো বন্ধ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছিলো হাজার হাজার পুলিশ, সৈন্য এবং অন্য গার্ডদের।
তারপরও নাশকতাকারীরা পাঁচটি জায়গায় হামলা করেছে, যেগুলোতে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োজিত করা ছিল না। দেশটির রাষ্ট্রীয় রেল সংস্থা এসএনসিএফ বলেছে, নাশকতাকারীরা শুক্রবার রাত দেড়টা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে কমপক্ষে পাঁচটি সিগন্যাল বক্স এবং কিছু বৈদ্যুতিক স্থাপনা ভাংচুর করেছে বা ভাংচুরের চেষ্টা করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল প্যারিসের ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে কোর্তালাইন। বিবিসি বাংলা।