‘সিরিজ জয়ের স্বপ্ন সত্যি’, লিটনের লক্ষ্য এখন হোয়াইটওয়াশ

ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য এখন লিটন দাসের
ভারতকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্য এখন লিটন দাসের  © সংগৃহীত

টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো সিরিজ জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ৫ রানের জয় তুলে নেয় টাইগাররা। সিরিজ জয় করার পাশাপাশি তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ এগিয়ে ২-০ ব্যবধানে।  ম্যাচ শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় লিটন বলেন, অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জয়, স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। তবে লিটন দাসের লক্ষ্য এখন আরও বড়। ভারতকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল সিরিজ শুরুর আগ মুহূর্তে ইনজুরিতে ছিটকে পড়ায় দায়িত্বভার এসে পড়েছিল লিটন দাসের ওপর। ওয়ানডেতে অধিনায়কত্বের অভিষেক। সেটিও আবার শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে। রোমাঞ্চ যেমন ছিল, চ্যালেঞ্জও কম ছিল না। তবে সে পরীক্ষায় ভালোভাবেই উৎরে গেলেন লিটন। টানা দুই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন জানিয়েছেন, অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডে সিরিজ জিতে তাঁর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এখন তার লক্ষ্য চট্টগ্রামে ১০ ডিসেম্বর তৃতীয় ওয়ানডেতে। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন,‘খুবই ভালো লাগছে। অধিনায়ক হিসেবে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অবশেষে সত্যি হয়েছে। আমরা এখন চট্টগ্রামে ম্যাচ জিততে যাচ্ছি।’

মিরপুরে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ। ১৯ ওভারে ৬৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ৭ম উইকেট জুটিতে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ১৬৫ বলে ১৪৮ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। পরে নাসুম আহমেদের সঙ্গে ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে শক্ত ভিত এনে দেন। যার সুবাদে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে করে ৭ উইকেটে ২৭১ রান। মিরাজ-রিয়াদের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করেন লিটন। 

বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মনে হয়েছিল, ২৪০ অনেক স্কোর হবে। আমরা ছয় উইকেট হারিয়েছি কিন্তু মিরাজ এবং রিয়াদ যেভাবে ব্যাটিং করেছে, সত্যিই অসাধারণ। আমরা শুরুতেই ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ অসাধারণ খেলেছে।

আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে অনিশ্চিত ডি পল

সিরিজের প্রথম ওয়ানডের মতো মিরাজ এদিনও ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে ৮ চারের সঙ্গে ৪টি দৃষ্টিনন্দন ছয়ে ৮৩ বলে ১০০ রানের রূপকথার মতো ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। আটে নেমে ওয়ানডেতে বাংলাদেশেরও প্রথম সেঞ্চুরি। এছাড়া বল হাতেও সমান কার্যকর ছিলেন মিরাজ। দলের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্রেকথ্রু এনে দেন। ফেরান লোকেশ রাহুল ও শ্রেয়াস আইয়ারকে। এমন অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর দ্বিতীয় কাউকে ম্যাচসেরার পুরস্কার দেয়ার প্রশ্নই ছিল না।

২০১৫ সালে ভারতের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। সাত বছর পর আবারও ঘরের মাঠে সিরিজ জিতল। ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামে শেষ ম্যাচ জিততে পারলে প্রথমবারের মতো কোহলি-রোহিতদের হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেবে বাংলাদেশ।


সর্বশেষ সংবাদ