ফিলিস্তিন সচেতনতা সপ্তাহের সমাপনীতে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা

ঢাকার রিভেরী স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত
ঢাকার রিভেরী স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত  © টিডিসি ফটো

ফিলিস্তিন সচেতনতা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠান উপলক্ষে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার রিভেরী স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস. ওয়াই. রামাদান। 

অনুষ্ঠানটি ছাত্রদের শিল্প প্রতিভা উদযাপন এবং ফিলিস্তিনের চলমান মানবিক সংকট সম্পর্কে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে আয়োজন করা হয়। এছাড়াও ছাত্রদের জন্য এটি একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করা হয়েছে, যেখানে তারা শিল্পকর্মের মাধ্যমে তাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন প্রকাশ করতে পারে।

ঢাকার রিভেরী স্কুল ক্যাম্পাসে আয়োজিত অনুষ্ঠান

রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস. ওয়াই. রামাদান তার বক্তব্যে বলেন, শিল্প শান্তি এবং সংহতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। তিনি ছাত্রদের উৎসাহিত করতে বিশেষ টিশার্ট উপহার দেন, যা ফিলিস্তিনের শান্তি এবং ন্যায়বিচারের সংগ্রামের প্রতি তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে কাজ করবে।

চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাটি বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল এবং শান্তি, আশা, এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতির থিমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীল প্রতিভা প্রদর্শন করেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের শিল্পকর্ম দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে, এবং কিছু শিল্পকর্ম তাদের শক্তিশালী আবেগময় প্রকাশের জন্য পুরস্কৃত হয়।

রিভেরী স্কুলের চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হক সুহান বলেন, “আমরা শুধু একাডেমিক শ্রেষ্ঠতায় নয়, বরং বৈশ্বিক নাগরিকত্বের চেতনাও গড়ে তোলাতে বিশ্বাসী। এই অনুষ্ঠানটি আমাদের ছাত্রদের মানবিক ইস্যু সম্পর্কে একটি গভীর বোঝাপড়া দিতে এবং পৃথিবীকে সহানুভূতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে অনুপ্রাণিত করার একটি প্রয়াস।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রিভেরী স্কুলের পরিচালক মো. জহিরুল আল জিলানি, পরিচালক এমদাদুল হক (প্রাক্তন সচিব, বাংলাদেশ সরকার), এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সৈয়দা নওরীন রাজা প্রমুখ।

ফিলিস্তিন সচেতনতা সপ্তাহের এই আয়োজন রিভেরী স্কুলে শিক্ষার্থীদের এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে একটি স্থায়ী ছাপ রেখে যায়। এটি যুব সমাজকে শান্তি ও ন্যায়ের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করে, যা বিশ্বকে আরও ভালোভাবে পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।


সর্বশেষ সংবাদ