এক স্কুলে ২৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৫ পেয়েছেন ২৯৪ জন

নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস
নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস  © টিডিসি ফটো

নরসিংদীর নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস। এসএসসির ফলাফলে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখে এ বছরও ২৯৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ পাসসহ ২৯৪ জন জিপিএ ৫ পেয়েছেন। গতকাল রবিবার অনলাইনে এসএসসির ফল ঘোষণার পর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন। প্রতিষ্ঠানটির ধারাবাহিক সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদির মোল্লা ও নাছিমা মোল্লা।

এর আগে ২০২৩ সালে শতভাগ পাসসহ ৯৭.১২ শতাংশ জিপিএ ৫ এবং ২০২২, ২০১৭ ও ২০১৫ সালে শতভাগ পাসসহ শতভাগ জিপিএ ৫ পেয়ে দেশসেরা ফল অর্জন করে প্রতিষ্ঠানটি। নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, ‘আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বরাবরই দেশসেরা ফলাফল করছে। এবারও প্রায় শতভাগ পাসসহ দেশসেরা ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে।’

আছিয়া জান্নাতুল বর্ষা নামে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া এক শিক্ষার্থী উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষক ও বাবা-মায়ের পরিশ্রমের কারণেই আমার এ ফলাফল। এ ছাড়া আমি একটি ক্লাসও মিস করিনি। কোনো পরীক্ষা-মডেল টেস্ট বাদ দেইনি। তাই চর্চাটা খুব ভালো হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়ে খুব ভালো লাগছে।

লাকিব হাসান লিনার নামে জিপিএ-৫ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষায় ভালো করার জন্য যা যা সাপোর্ট দরকার তার সবই বাবা-মা ও শিক্ষকদের কাছ থেকে পেয়েছি। শিক্ষকরা আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছেন। তা ছাড়া আমাদের এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকলেই আন্তরিক।

এর আগেও প্রতিষ্ঠানটি শতভাগ পাসসহ ২০২২ সালে ২৬৬ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছিল এবং ২০২১ সালে ২৪৭ জনের মধ্যে ২৩৭ জন, ২০২০ সালে ২১৪ জনের মধ্যে ২০০ জন, ২০১৯ সালে ১৭১ জনের মধ্যে ১৬৮ জন, ২০১৮ সালে ১৩৯ জনের মধ্যে ১৩৭ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল। তার আগের বছর ২০১৭ সালে ১৬৪ জন পরীক্ষার্থীর সবাই জিপিএ ৫ পেয়েছিল।

নাছিমা কাদির মোল্লা হাই স্কুল অ্যান্ড হোমস সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পিইসি, জেএসসি ও এসএসসিতে টানা শতভাগ পাসসহ প্রায় প্রতিবছরই বোর্ডে দেশ সেরার স্থান দখল করে আসছে। ২০২৩ সালে ২৭৮ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ২৭০ জন জিপিএ ৫ পেয়েছিল।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. ইমন হোসেন বলেন, একটি বিদ্যালয়ের ভালো ফলাফলের মূল মন্ত্র হচ্ছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয়। আর আমাদের মূলমন্ত্র হলো আবদুল কাদির মোল্লা। স্যারের ইনোভেটিভ চিন্তা-চেতনা, সময়োপযোগী সঠিক দিক নির্দেশনায় আমরা এক ঝাঁক তরুণ শিক্ষকের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের এই ফলাফল অব্যাহত আছে।

 

সর্বশেষ সংবাদ