হজের দোহাই—ভিকারুননিসার সেই শিক্ষককে বহিষ্কার না করার সুপারিশ

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শিক্ষক মুরাদ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও শিক্ষক মুরাদ  © ফাইল ছবি

একাধিক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও নীপিড়নে অভিযুক্ত রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে জমা দেওয়া তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। প্রতিবেদনে তাকে স্থায়ী বহিস্কার না করার সুপারিশ করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটির জমা দেওয়া প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকার হজ্জ করার পর আর কোনও ঘটনা ঘটেনি সে কারণে তাকে বরখাস্ত না করার সুপারিশ করা হলো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, আমি তদন্ত কমিটির কেউ না। ইতোমধ্যে ওই শিক্ষকে বরখাস্ত করেছি। নতুন করে উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ে গেছে। কারা আছে তদন্ত কমিটিতে এখনই বলা যাচ্ছে না।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখায় সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও নীপিড়নের অভিযোগ করা হয়। অভিযোগের পর শিক্ষক মমতাজ বেগমকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন— শিক্ষক ড. ফারহানা খানম ও শিক্ষক শামসুন আরা সুলতানা।

তদন্ত কমিটি গত ২২ ফেব্রুয়রি অধ্যক্ষের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এতে সাতটি সুপারিশ করা হয়।  

সপুরিশগুলোর মধ্যে ৩ নম্বর সুপারিশে বলা হয়, ‘যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দকেও জবাব দিহিতার আওতায় আনতে হবে, যাতে স্বেচ্ছাচারিতা না করতে পারে। তার জন্য উচ্চ পর্যায়ের মনিটরিং টিম গঠন করা যেতে পারে।’

প্রতিবেদনের ৫ নম্বর সুপারিশে বলা হয়, ‘কোনও শিক্ষক নিজে বা তার সন্তান দ্বারা বা কোনও বর্তমান অথবা প্রাক্তন ছাত্রী দ্বারা প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করলে (বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বা অন্য কোনভাবে) এবং তা প্রমাণিত হলে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে, নতুবা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হবে।’

প্রতিবেদনের ৬ নম্বর সুপারিশে বলা হয়, ‘শাখা প্রধানগণের মনিটরিং আরও বাড়াতে হবে।’

প্রতিবেদনের ৭ নম্বর সুপারিশে বলা হয়, ‘জনাব মুরাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ৩ জন ছাত্রীর আনা অভিযোগের ঘটনাগুলো এক বছর আগের হওয়ায় এবং তিনি পবিত্র হজ্জ করার পর এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বিধায় (ছাত্রীদের ভাষ্যমতে) তাঁকে বরখাস্ত না করে শেষবারের মত সতর্ক করে অন্য কোন শাখায় বদলি করা যেতে পারে। তাছাড়া অভিযোগকারীগণ উপযুক্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে অন্য কোন সিদ্ধান্তে উপনিত হওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা যেতে পারে।’


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence