গুচ্ছের মাইগ্রেশন বন্ধ নিয়ে টেকনিক্যাল কমিটির সভা কাল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৩১ PM , আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০২২, ০৭:৩১ PM
গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সপ্তম মেধাতালিকা থেকে মাইগ্রেশন সিস্টেম বন্ধ থাকবে নাকি চলমান থাকবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল বুধবার সভা করবে টেকনিক্যাল কমিটি। যদিও আজ মঙ্গলবার এই সভা হওয়ার কথা ছিল।
জানা গেছে, ষষ্ঠ মেধাতালিকা থেকে ভর্তি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি। গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সপ্তম মেধাতালিকা থেকে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার কথা জানানো হয়। তবে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ আপত্তি জানায়।
গুচ্ছ ভর্তি প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত একটি সূত্র দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানিয়েছে, মাইগ্রেশন বন্ধের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শিক্ষার্থীরা তাদের কাছে ফোন করেন। শিক্ষার্থীদের একটি পক্ষ মাইগ্রেশন চালু রাখার দাবি জানান। অপর আরেকটি পক্ষ মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার কথা জানান। ফলে বিষয়টি নিয়ে দোটানায় পড়েছেন তারা।
ওই সূত্র আরও জানায়, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু থাকবে নাকি বন্ধ করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা করতে আগামীকাল বুধবার টেকনিক্যাল কমিটির সদস্যরা একটি ভার্চুয়াল সভা করবেন। রাত ৮টায় এই সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত গুচ্ছের মূল কমিটিকে জানানো হবে। এরপর বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) গুচ্ছের মূল কমিটির সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাছিম আখতার মঙ্গলবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মাইগ্রেশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আগামীকাল আমাদের একটি সভা রয়েছে। সভা শেষে আমরা বিষয়টি গুচ্ছের মূল কমিটিকে জানাব। তারা এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গুচ্ছের মূল কমিটির একজন সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া চালু রাখলে সিট কখনো পূরণ হবে না। কেননা অনেকে ৫০ পেয়ে সাবজেক্ট পেয়েছে। তারা মাইগ্রেশন করে ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সেজন্য মাইগ্রেশন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তৃতীয় অথবা চতুর্থ মেধাতালিকা থেকে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে চেয়েছিলাম। তবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সেটি ষষ্ঠ মেধাতালিকা পর্যন্ত চালু রাখা হয়েছে। এরপর কি হবে সেটি মূল কমিটিতে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।