কখন কোরবানির পশু জবাই করবেন
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৫, ০৭:৪৯ PM , আপডেট: ১৭ জুন ২০২৫, ০১:৫১ AM

পবিত্র ঈদুল আজহা মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতের দিন। এই দিনে কোরবানি করা হয় আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে। তবে কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ শরিয়াহভিত্তিক বিষয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে বা পরে পশু জবাই করলে তা কোরবানি হিসেবে গণ্য হয় না। তাই প্রতিটি মুসলমানের এ বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখা জরুরি।
কোরবানির সময় নির্ধারণ
ইসলামী শরিয়াহ অনুসারে, কোরবানির পশু জবাই করার বৈধ সময় হলো জিলহজ মাসের ১০, ১১, ১২ এবং ১৩ তারিখ। এর মধ্যে ১০ জিলহজ হলো ঈদুল আজহার দিন, যেটি কোরবানির প্রধান দিন। এরপর তিনটি দিনকে বলা হয় তাশরিকের দিন ১১, ১২ ও ১৩ জিলহজ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘তাশরিকের সব দিনই কোরবানির জবাইয়ের দিন।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস: ১৯৪১৬)
জবাইয়ের সময়ের শুরু ও শেষ
শুরু: ঈদুল আজহার নামাজ ও খুতবা শেষ হওয়ার পর কোরবানি জবাইয়ের সময় শুরু হয়।
রাসুল (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি নামাজের আগে জবাই করে, সে তার নিজের জন্য মাংস জবাই করেছে। আর যে নামাজের পর জবাই করে, সে আমাদের রীতি পূর্ণ করেছে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৫৫৬)
আরও পড়ুন: রাসূল (সা.) যেভাবে কোরবানির মাংস বণ্টন করতেন
শেষ: জিলহজের ১৩ তারিখ সূর্যাস্তের আগে পর্যন্ত কোরবানি জবাই করা যাবে। ইসলামি ফিকহবিদদের মতে, তিন দিনের মধ্যে সর্বোত্তম সময় হলো প্রথম দিন, অর্থাৎ ১০ জিলহজ। এরপর দ্বিতীয় দিন এবং তারপর তৃতীয় দিন। (বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫)
নামাজের আগে জবাই জায়েজ নয়
যেসব এলাকার মুসলমানদের ওপর ঈদের নামাজ ওয়াজিব, সেসব স্থানে ঈদের নামাজ আদায়ের আগে কোরবানি করা জায়েজ নয়। এমনকি কেউ যদি ঈদের নামাজের আগে জবাই করে ফেলে, তাহলে সেটি সাধারণ মাংস জবাই হিসেবে গণ্য হবে কোরবানি হিসেবে নয়। তবে কোনো ওজরবশত ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে, নামাজের সময় পরিমাণ সময় পার হওয়ার পর জবাই করা বৈধ বলে গণ্য হবে। (সহিহ বুখারি ২/৮৩২, কাযীখান ৩/৩৪৪)