৩ লাখে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি, ভাইভায় এসে আটক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২২, ০৬:৫৬ PM , আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২২, ০৬:৫৬ PM
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) সাক্ষাৎকার দিতে এসে প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সৈয়দ আব্দুস সামি নামে এক ভর্তিচ্ছু আটক হয়েছেন।
সোমবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদে সাক্ষাৎকার দিতে এসে আটক হন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রক্সির বিষয়টি স্বীকার করেছেন তিনি।
সামির বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়। আছিম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি।
সামি জানান, ‘স্থানীয় পরিচিত এক ছেলের মাধ্যমে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শাকিলের সঙ্গে প্রক্সির বিষয়ে কথা হয়। শাকিল পরবর্তীতে বুয়েট পড়ুয়া মাহফুজ নামে এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে প্রক্সি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। শাকিলের মাধ্যমে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা চুক্তি হয়। ভর্তি পরীক্ষার আগে ২ লাখ ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। ভাইভা শেষে বাকি ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মাহফুজকে দেওয়া হবে বলে ওই টাকা শাকিল জমা নেন।’
সামি আরও জানান, ‘সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে পরীক্ষার আসন পড়ে। আমি পরীক্ষা দেইনি। তবে মাহফুজ নিজে পরীক্ষা দিয়েছে কি-না সেটা নিশ্চিত জানি না। মেধাতালিকায় আমার ১১৬তম স্থান আসে। মাহফুজ ভাইয়ের অধীনে আরও তিন-চারজন এরকম চুক্তি করেছে বলে জানি। এই পুরো বিষয়ে সব ধরনের ঝুঁকি শাকিল বহন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক আকবার হোসেন বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর হাতের লেখার সঙ্গে তার ভর্তি পরীক্ষার খাতার (ওএমআর) লেখার মিল না পাওয়ায় সন্দেহ হয়। পরে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।'
আরও পড়ুন : আরও দুই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বলেন, ‘প্রক্টর অফিস থেকে নিরাপত্তা শাখায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করে। পরে ওই ছাত্র প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ সময় জালিয়াতি চক্রের কয়েকজনের সংশ্লিষ্টতার তথ্যও পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’