খোঁজ মিলেছে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া সেই শিক্ষার্থীর
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১২ আগস্ট ২০২২, ০৪:০৯ PM , আপডেট: ১২ আগস্ট ২০২২, ০৫:০২ PM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) চট্টগ্রাম স্টুডেন্ট’স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আত্মহত্যার স্ট্যাটাস দেয়া শিক্ষার্থী তারেকুল ইসলামের খোঁজ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে তার পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে তারিকুল ইসলামের বড়বোন জানান, ‘তারেক আমাদের মাঝে সুস্থ অবস্থায় এসেছে।’
কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন জানান, ‘আমরা ফেসবুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর স্ট্যাটাস পাওয়ার পর সাথে সাথে তাকে খোঁজার জন্য বাহির হই। পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এসে তিশা প্লাস বাস কাউন্টারের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে তাকে শনাক্ত করি। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের অলংকারে তার পরিবারের কাছে রয়েছেন।’
এর আগে, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে দেন সংগঠনটির সভাপতি তারিকুল ইসলাম।
ফেসবুকে তিনি লিখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য যে বা যারা দায়ী হইত তাদের বিচার দুনিয়ার এই নামধারী বিচারকদের কাছে পাবো না। আল্লাহর আদালতে দেখা হবে। আল্লাহ তুমি আমার মা বাপরে দেইখা রাইখো। আল্লাহ তুমি জালিম বিচারকদের বিচার কইরো।’
তিনি আরও লিখেন, ‘চট্টগ্রাম ঢাকা হাইওয়ে। আমি ডেকে ছিলাম সমাধান করে দিতে। আমি সিগনেচার দেয়ার জন্য আসি নাই। বারবার বলতেছিলাম প্রোগ্রামের পর এটার সমাধান করবো। লোক দেখানো ভদ্রভাবে বিচারটা হয়ে গেলো। সিগনেচারটা দিয়ে দিলাম। কিয়ামতের দিন দেখা হবে। মা তোমার সাথে কতদিন কথা হয় না। সরি বাবা তোমার কলগুলো কেটে দিছি। তোমরা তো আমাকে ক্ষমা করে দিবে জানি। মা শুননা আমি কারো সাথে ঝামেলা করি নাই। মা ওরা আমাকে বাঁচতে দিলো না।’
আরও পড়ুন : ফেসবুকে ‘সুইসাইডের ঘোষণা দিয়ে’ নিখোঁজ শিক্ষার্থী
কুবির এই শিক্ষার্থী আরও লিখেন, ‘আপু তোমরা তো আমাকে চেন। কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি আমাকে চেনে নাই। এইখানের বিচারকরা আমাকে বাঁচলে দিলো না। মা তুমি ওদের ক্ষমা করে দিও। বিচার চাইও না। ওরা বিচার বিচার করতে জানে না। মা তুমি জানো এর আগেও খালেদ সাইফুল্লা খুন হয়েছিলো। উনার মা বিচার পাই নাই। মা আমার জন্য কাঁদিও না। মা তোমায় মিস করবো। মা তুমি জানো ওরা আমাকে বলেছে সিগনেচার করে দিতে। আমি করে দিছি। আমি ঝামেলা করি নাই। মা জানো আমি অনেক রাগী ছিলাম। এখন অভিমানী। মা মিস ইউ। আব্বু, আপু নাদিয়া সরি।’