হলের সিট দখল নিয়ে ইবিতে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মারামারি

ইবিতে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মারামারি
ইবিতে দুই ছাত্রলীগ কর্মীর মারামারি  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে শিক্ষার্থী তোলা নিয়ে আবারো ঝামেলা জড়িয়ে পড়েছে ইবি ছাত্রলীগ। লালন শাহ হলে ৪০৩ নম্বর কক্ষের একটি সিটে শিক্ষার্থী তোলা নিয়ে হলের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে গভীর রাতে দফায় দফায় মারামারি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (২৩ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, লালন শাহ হলের ৪০৩নং কক্ষে আবাসিক দুই সিনিয়র শিক্ষার্থী বেশিরভাগ সময়ই হলে না থাকায়। ওই দুই সিটে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের নবীন এক শিক্ষার্থীকে তুলতে যান হল ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান। ওই কক্ষে অবস্থান করা আরেক ছাত্রলীগকর্মী অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিলও ওই দুই সিটে দু’জনকে তোলেন। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে মোস্তাফিজ ওই কক্ষে গিয়ে শাকিলের যে দু’জন শিক্ষার্থীকে তুলেছিলেন তাদের সিট খালি করে দিতে বললে বাধা দেন শাকিল। এ সময় তাদের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ভোররাত ৩টার দিকে মোস্তাফিজ ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন মিলে শাকিলকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। 

ছাত্রলীগ কর্মী শাকিল বলেন, রাতে হলের করিডরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মোস্তাফিজ এসে আমাকে হুমকি-ধামকি দেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে চড়-থাপ্পড় দেন ও মারধর করেন।

এ বিষয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রুমটিতে শাকিল ও তার কয়েকজন বন্ধু কক্ষে নিয়মিত মাদক সেবন করে। এটি বন্ধ করতে ওই রুমে নতুন কাউকে তুলতে চেয়েছিলাম। শাকিল বাধা দিতে আসলে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে ৩টার দিকে চা খেয়ে ওপরে আসার সময় আবার বাগবিতণ্ডা শুরু করলে বাকি ঘটনা ঘটে।

পরে নিজ হলের এবং অন্যান্য হল থেকে শাকিলের বন্ধুরা আসলে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয় । ক্ষুব্ধ হয়ে তার বিভিন্ন জায়গায় মোস্তাফিজকে খুঁজতে থাকেন এবং করিডরে অবস্থান নেন। পরে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা বিপুল হোসেন খান ও আলামিন জোয়ার্দার এসে সকালে বসে সিদ্ধান্ত হবে জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপরই ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা উপস্থিত হয়ে প্রভোস্টের সঙ্গে বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে সবাই নিজ নিজ কক্ষে ফিরে যান।

আজ রবিবার বেলা ১টার দিকে  প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনায় বসে। এতে তাদেরকে বিষয়টি সমাধানের পাশাপাশি যারা অবৈধ সিটে থাকে তাদেরকে বৈধ করার নির্দেশ দিয়েছেন হল কর্তৃপক্ষ।

লালান শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, রাতের ঘটনায় আলোচনায় বসেছিলাম। আলোচনা থেকে বিষয়টির সমাধান করা হয়েছে। সকলের সিট বৈধ করে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ