বাস্তুহারাদের মুখে হাসি ফোটালো স্মাইল শাটেল

বাস্তুহারাদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছে জবি সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্মাইল শাটেল ফাউন্ডেশন।
বাস্তুহারাদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেছে জবি সেচ্ছাসেবী সংগঠন স্মাইল শাটেল ফাউন্ডেশন।  © সংগৃহীত

কেরানীগঞ্জের বাস্তুহারায় এক জীর্ণ ঘরে বাবা-মা আর ফুটফুটে ছোট বোনকে নিয়ে আসিফের সংসার। পাশের প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হতে না পারলেও সেই স্কুলের মাঠেই কাটে তার দিনের অধিকাংশ সময়, কিছুক্ষণ আগে সেখান থেকে সরে পাশের ডকইয়ার্ডের দিকে আসে সে। হঠাৎই মাঠে স্মাইল শাটেলের সদস্যদের হাতে শীত বস্ত্র দেখে উৎসুক আরও অনেকের মতো সেও আবার ছুটে এসেছে মাঠে । গেলো বারের দুই পরিচিত ভাইয়ের সাথে এবার এসেছে আরও দশ জন ভাইয়া আপু। সবার হাতেই রঙিন কম্বল। কাছে গিয়ে জানতে পারে এবার ভাইয়া আপুরা শুধু কম্বলই আনে নি, সাথে এনেছে সবার জন্য উপহারও।

আরও পড়ুন: হামলার প্রতিবাদে সন্ধ্যায় কাওয়ালি আসর বসবে টিএসসিতে

মূলত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর একটি দল এসেছে তাদের জন্য শীত বস্ত্র (কম্বল) নিয়ে। পুরান ঢাকা ও কেরানীগঞ্জের স্বল্প সংখ্যক অসহায় মানুষদের শীত নিবারণের জন্য টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্মাইল শাটেল ফাউন্ডেশন নামক সংগঠনের সদস্যদের পক্ষ থেকে এটি একটি ছোট্ট প্র‍য়াস।

বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ও সন্ধ্যায় দুই ভাগে পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সদরঘাট এলাকা ও পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জের বাস্তুহারা শীতার্ত মানুষের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করে সংগঠনটি। বাস্তুহারার ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে কুশল বিনিময় শেষে তাদের ছোট উপহারও দেয় তারা। 

করোনা পরবর্তী সময়ে সংগঠনটির এই প্রকল্পে সর্বোচ্চ সংখ্যক সেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছে , বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা মোট ৩৫ জন। কেবল শীত বস্ত্র বিতরণই নয়, পাশাপাশি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, পথশিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ও স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়েও কাজও করছে স্মাইল শাটেল ফাউন্ডেশন।

আরও পড়ুন: শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না জবি ছাত্রী উম্মে নিসাকে

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ঝাঁক তরুণ তরুণীর নিরলস পরিশ্রমের ফলে গড়ে ওঠা এই স্মাইল শাটেল সংগঠনটি ইতোমধ্যে সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে সাতটি প্রকল্প। পথ শিশু থেকে শুরু করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের পাশে থেকে তাদের মুখে হাঁসি ফোটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে সংগঠনটি। তাদের সাথে আছে কানাডা ভিত্তিক এলডিএফ ফাউন্ডেশনও, বিভিন্ন সময় আর্থিক অনুদান ও পরামর্শ দিয়ে স্মাইল শাটেলের সাথে কাজ করে যাচ্ছে ভিনদেশীে এই সংগঠনটি।

উল্লেখ্য, করোনাকালীন সময়ে গোটা বিশ্ব স্থবির হয়ে পড়লেও ‘স্মাইল শাটেল ও এলডিএফের’ কার্যক্রম থেমে থাকেনি। বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহামারি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছে।


সর্বশেষ সংবাদ