আকবরের রহস্যজনক মৃত্যুর তদন্ত দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি প্রদান
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:১৮ PM , আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩৫ PM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আকবর হোসাইনের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নেয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে জবি শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ২৭ আগস্ট ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থী জনাব মোঃ আকবর হোসাইন পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যায় এবং তার সহপাঠীরা ফোনে যোগাযোগ করলে আশেপাশে অবস্থান করছে বলে জানায়। সর্বশেষ রাতে যখন তার সাথে যোগাযোগ করা হয় তখন সে একটু পর বাসায় ফিরবে বলে তার বড় বোনকে জানায়। অতঃপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটের দিকে জানা যায় সে চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ে যায় এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হসপিটালে ভর্তি করেন। চিকিৎসায় দায়িত্বরত ডাক্তার ও পুলিশের তদন্ত ও প্রাপ্ত আলামতের ভিত্তিতে এটি স্পষ্ট হয়, এটি কোন আত্মহত্যা কিংবা দুর্ঘটনার কেইস নয়। কারণ তাকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় ফ্লাইওভার থেকে ফেলে দেয়া হয় বলে সূত্রমতে জানা যায়।
এমনি আরো অনেক সূত্র পুলিশের কাছে রয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রামের খুলশী থানায় আকবরের পরিবার একটি মামলাও করেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকবরের অবস্থা ছিল খুবই আশঙ্কাজনক এবং পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
আকবরের সহপাঠীরা জানান, আমাদের সহপাঠীর সাথে খুব অন্যায় করা হয়েছে। আমাদের ধারণা তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের একজন সহপাঠীর এমন রহস্যজনক দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। আমাদের সহপাঠী হত্যার দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে আমরা মানববন্ধনসহ প্রয়োজনে আমরণ অনশন কর্মসূচীতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, আমি কিছুক্ষণ আগেই থানায় কথা বলেছি। ঘটনার দিন ও (আকবর) হোয়াটস অ্যাপ এবং ইন্সট্রাগ্রাম ব্যবহার করে কথা বলেছে। কিন্তু ওইগুলো ফোনে ডিলেক্ট করা। চট্টগ্রাম খুলশি থানা পুলিশ ঐগুলো উদঘাটন করার জন্য ঢাকায় ডিবিতে পাঠাইছে। শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।