বেরোবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে ওয়ান ইলেভেনে সম্পৃক্ততার অভিযোগ, তদন্তের দাবি
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৯ PM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ০৫:৫৯ PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ এর বিরুদ্ধে ওয়ান ইলেভেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠার পরও তিনি কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়েছেন সেটি তদন্ত করে দেখার দাবি জানিয়েছেন সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবসের পুষ্পার্ঘ অর্পণ শেষে স্বাধীনতা স্মারক চত্ত্বরে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানান তিনি।
অধ্যাপক মশিউর রহমান বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবসে সারা দেশের জাতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছে। কিন্তু বেরোবি উপাচার্য কসোয়া থেকে নোয়াখালী, নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা যেতে পারলেও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শ খানেক গবেষণার সুপারভাইজার। গবেষণা পিএইচডির কাজ তিনি ফেসবুকে করান। এটি জাতিকে কতটা মেরুদণ্ডহীন করেছে আজকে বলার সময় এসেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগ করে মেধার পরিচয় দিয়েছে তারাও আজ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নানান হয়রানী আর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আজকে মহান বিজয় দিবসে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে তিনি পাকিস্তানী বদ্ধভূমিতে পরিণত করেছেন। এখানে বিজয় দিবসের কোনো আমেজ নেই।
উপাচার্যের দায়িত্বে অবহেলার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, আমার শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারী কী শিখবে? এখানে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে ভুগছে। এনিয়ে তার কোনো কর্মকাণ্ড নেই। বিভাগে মিটিং করছে সেটির ছবি তুলে ফেসবুকে প্রচারণা চালাচ্ছে। তিনি (উপাচার্য) কি ওয়ার্ড মেম্বার ইলেকশন করবেন? উপাচার্য হিসেবে সঠিক দায়িত্ব পালন করেন। কী দায়িত্ব পান করেছেন আপনি? ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বসে থেকে ক্যাসিনোর মত প্রতিষ্ঠান তৈরী করে অপকর্ম চালাচ্ছেন। এনিয়ে দায়সারা তদন্ত কমিটি দিয়ে কেন চুপচাপ বসে আছেন? আমরা বিচারের জন্য গণ আন্দোলন করবো। আজকে জাতীয় দিবসের কোন সিমটম এখানে নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনাগুলোর ভাঙচুর পরিস্থিতির অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই স্বাধীনতা স্মারকটির কী অবস্থা হয়েছে? কীভাবে ভাঙচুর হয়ে আছে সারা বিশ্ববিদ্যালয়? আপনি (উপাচার্য) আসেন গাড়ি বহর নিয়ে কোনো ব্যানারের উদ্বোধন অনুষ্ঠান, বিয়ের অনুষ্ঠান, গাছের ডালভাঙার অনুষ্ঠানে, স্যাণ্ডেল কেনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এসে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে চলে যান। আপনি পেয়েছেন কী? আপনি একজন শিক্ষক। আপনার যোগ্যতা কোথায়? আপনার বিবেক নেই? ভার্চুয়াল মিটিংয়ে অধিকার সুরক্ষা পরিষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের কাউকে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেননি। ভয় কীসের? এটি স্বাধীন বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করেন মশিউর রহমান।
এছাড়াও সেখানে উপাচার্যের নানান অনিয়ম আর অপকর্ম নিয়ে বক্তব্য দেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক মাহমুদুল হক, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওয়াদুদুর রহমান তুহিন এবং অধিকার সুরক্ষা পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মতিউর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন অধিকার সুরক্ষা পরিষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সহ পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহকে ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি