তিথীকে খুঁজে পাওয়া যাবে: আশা পুলিশের
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১০:৩২ AM , আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০, ১০:৩২ AM
ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে বহিষ্কারের পর থেকে নিখোঁজ থাকা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রী ও বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দপ্তর সম্পাদক তিথী সরকারকে খুঁজে পাওয়া যাবে- এমনটাই আশ্বাস দিয়েছেন পল্লবী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী।
ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, তিথীর খোঁজ না পাওয়ায় তার অভিযোগের তদন্তও ঝুলে আছে। তিনি আশা করছেন, ‘তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে’।
এদিকে তিনি পল্লবী থানায় যাননি বলে পুলিশের ভাষ্য। অন্য কোথায়ও তাকে খুঁজে পাচ্ছে না পরিবার। নিখোঁজ হওয়ার দুই দিন পর গত ২৭ অক্টোবর পল্লবী থানায় সাধারণ ডায়রি করেন তার বোন স্মৃতি সরকার। তিনি বলেন, ২৩ অক্টোবর তিথী জানতে পারে তার ফেসবুক আইডি হ্যাক হয়েছে। জানার সাথে সাথেই সে থানায় জিডি করে। পরের দিন পুলিশ বাসায় এসে তাকে থানায় যেতে বলে।
স্মৃতি জানান, বাবার সাথে ওর থানায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাবা বাসায় না থাকায় সে একাই চলে যায়। বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ই তার সাথে আমাদের সবশেষ কথা হয়। এরপর আর যোগাযোগ নাই।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী তিথীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ তুলে ২৪ অক্টোবর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছিল একদল শিক্ষার্থী। সেখানে ইসলামি শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন, আহলে হাদিসের মতো ধর্মভিত্তিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছিল ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের কর্মীরাও।
তাদের দাবির মুখে ২৭ অক্টোবর ওই শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়।
থানায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক তিথী সরকারের সন্ধান চেয়েছে সংগঠনটি। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবিলম্বে তিথী সরকারকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক, থানায় যাওয়ার পথে নিখোঁজ হওয়ার দায়ভার প্রশাসন এড়াতে পারে না।
ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, তিথী তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে জানিয়ে ক্ষতির শঙ্কা প্রকাশ করে যে সাধারণ ডায়রি করেছিলেন, তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তা তদন্ত করা হবে। কিন্তু তাকে ছাড়া তো তার আইডি পাঠানো যাবে না। কারণ তার ডিভাইসটা লাগবে, পাসওয়ার্ড লাগবে। তাকে তো পাওয়া যাচ্ছে না। এজন্য আমরা কাজ করতে পারি নাই।