গেস্টরুমে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:১৭ PM , আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০৫:৩০ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের দলীয় কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে গেস্টরুমে ছাত্রলীগের দুই নেতার বসা নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে দুপুর দেড়টার দিকে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বক্স হলে এ ঘটনা ঘটে।
দু’দফা মারামারিতে আহত হয়েছেন অন্তত ৭ জন। আহতরা হলেন দর্শন বিভাগের একরাম হোসেন রিওন, মারুফ পারভেজ, রনি, জসিম, ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের লিমন, লোক প্রশাসনের সোহেল, ইতিহাস বিভাগের রাজিব। মারধরের শিকার ৭জন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী৷ এদিকে মারধরকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।
সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ছিলাম। সেখানে একবছর মেয়াদি কমিটি ঘোষণা করা হয়। আমি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে কোনো পদ পাইনি। এক বছরের কমিটি তিন বছর হয়ে গেছে। এই তিন বছর ধরেই আমার ছেলেদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ১২টার দিকে গেস্টরুমে ছিলেন ছাত্রলীগকর্মী কামরুল। এসময় বাকির অনুসারী লিমন গেস্টরুমে আসেন। সেখানে বসা নিয়ে দুজনের মধ্যে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে সেই ঘটনা হলের সামনে মারামারিতে গড়ায়।
তবে সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘গেস্টরুমে ঝামেলার পর লিমন বন্ধুদের নিয়ে কামরুলের রুম ভাঙচুর করে। পরে কামরুল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি জানালে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
তবে ঘটনাস্থলের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, সহ সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, আরিফ বিন জহির, মিজানুর রহমান সিনহা, সাংগঠনিক সম্পাদক চঞ্চল কুমার অর্ক, ছাত্রলীগ কর্মী সুব্রত মারামারিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তবে সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক রুনু মারধরের বিষয়টি ‘অস্বীকার’ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, গেস্ট রুমে বসা নিয়ে দুই আবাসিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রথমে ঘটনার সূত্রপাত। পরে একটি বড় ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিল। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। প্রক্টরিয়াল বডি, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য তৎপর আছেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকাল ৫টা) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা চলমান রয়েছে।