মধ্যরাতেও শিক্ষা ভবনের সামনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের অবস্থান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ AM
মধ্যরাত পেরিয়েও শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশের দাবিতে তারা সন্ধ্যা থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন রাতেও অব্যাহত রেখেছে। আন্দোলনকারীরা জানান, এক দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা এখান থেকে সরে যাবেন না এবং তাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
এর আগে সকাল থেকেই সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা নিজ ক্যাম্পাস থেকে শিক্ষা ভবন মোড়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে আসেন। দুপুর ১টার দিকে তারা শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কের মোড়ে অবস্থান নেন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা হাইকোর্ট মোড় অবরোধ করেন।
এরপর সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনের পর শিক্ষার্থীরা হাইকোর্ট মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেন। তবে অবরোধ করে রাখেন শিক্ষা ভবনের সামনের সড়ক।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, সাত কলেজ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ ঘোষণার আগ পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে সাত কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর আন্দোলনের শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নাইম হাওলাদার বলেন, ‘গত ১৫ মাস আমরা আন্দোলন করে ক্লান্ত হয়ে গেছি। অধ্যাদেশ না নিয়ে আমরা রাজপথ ছাড়ছি না। গত ৩ অক্টোবর আমরা এক দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি। আজ সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর ৭টি কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা আলাদা পদযাত্রা করে শিক্ষা ভবনে অবস্থান নিয়েছে। পরে আমরা হাইকোর্ট মোড় অবরোধ করি। বিকাল থেকে আমাদের কর্মসূচি চলমান রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে এখন হাইকোর্ট মোড় ছেড়ে দিচ্ছি। তবে একদফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষা ভবনের সামনে সারা রাত অবস্থান করবো। আগামীকাল সকাল থেকে অন্যান্য শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। অধ্যাদেশ না নিয়ে কেউ বাসায় ফিরবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেকেরই এখন ফাইনাল পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার মধ্যেও তারা এখানে জড়ো হয়েছেন। কাল চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা আছে। আমরা সেভাবে আমাদের কর্মসূচি পরিকল্পনা করেছি। যেন সবাই পরীক্ষার মাঝেও আন্দোলনে অংশ নিতে পারেন।’
শিক্ষার্থী প্রতিনিধি নাইম হাওলাদার আরও বলেন, ‘অধ্যাদেশ ছাড়া কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোনও অগ্রগতি নেই। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি হলেও শিক্ষার্থীরা এখনও ক্লাসরুমে ফিরে যেতে পারেননি। প্রশাসনের সবাইকে জানাতে চাই, শিক্ষার্থীদের আকুতি আপনারা শুনুন, তাদের ক্লাসরুমে ফিরিয়ে নিন। রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে আমাদের পরিচয় নিশ্চিত করুন।’