ক্যাম্পাসে মন্দির স্থাপনে উপাচার্যকে স্মারকলিপি জকসু ভিপি প্রার্থী চন্দনের

স্মারকলিপি দিচ্ছেন জকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস
স্মারকলিপি দিচ্ছেন জকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস  © সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রায় দুই হাজারের অধিক সনাতনী শিক্ষার্থীর উপাসনালয় হিসেবে মন্দির স্থাপনের দাবি জানিয়ে উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন জকসু নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী চন্দন কুমার দাস।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দুপুর দুইটার দিকে তিনি উপাচার্যের কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম প্রগতিশীল ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর হিসেবে পরিচিত। এখানে বিভিন্ন ধর্ম ও মতের হাজারো শিক্ষার্থী একসঙ্গে অধ্যয়ন করে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপুল সংখ্যক সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত থাকলেও ক্যাম্পাসে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উপাসনার জন্য কোনো মন্দির নেই। এটি আমাদের সংবিধান-প্রদত্ত ধর্মীয় স্বাধীনতার চর্চার পথে একটি বড় অন্তরায়।

এতে আরও বলা হয়, পূজা-অর্চনা বা ধর্মীয় উৎসব পালনের জন্য শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের বাইরে যেতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং অনেক ক্ষেত্রে অসুবিধাজনক। ক্যাম্পাসে একটি মন্দির স্থাপিত হলে তা শুধু ধর্মীয় উপাসনার সুযোগই নিশ্চিত করবে না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক চরিত্রকে আরও মহিমান্বিত করবে এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধনকে সুদৃঢ় করবে। আমাদের এই দাবিটি কোনো নতুন বিষয় নয় এটি একটি ‘চিরায়িত দাবি’, যা বছরের পর বছর ধরে শিক্ষার্থীরা করে আসছেন।

স্মারকলিপি জমা দিয়ে চন্দন কুমার দাস বলেন, ক্যাম্পাসে মন্দির স্থাপিত হলে তা শুধু সনাতনী শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় উপাসনার সুযোগই সৃষ্টি করবে না, বরং অসাম্প্রদায়িক চেতনা আরও শক্তিশালী হবে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে। আমাদের দাবিটি উপাচার্য স্যার গুরুত্বসহকারে দেখবেন এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর জবির ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দাস। ভিপি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। মনোনয়ন সংগ্রহ শেষে চন্দন বলেন, আমি ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন তুলেছি। আমার এজেন্ডা হলো শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি আমার সর্বোচ্চটা দিতে প্রস্তুত। ইতোমধ্যে লক্ষণীয় যে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন দলভিত্তিক যে প্যানেলগুলো হয়েছে, সেখানে মাইনরিটিদের বিভিন্নভাবে একটি নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নিচের পদগুলো অফার করা হয়েছে তারা ভিপি, জিএস, এজিএস পদে যোগ্যতম হওয়া সত্ত্বেও। এজন্য আমি আমার মাইনরিটি স্বকীয়তা রক্ষায় মাঠে নেমেছি এবং শেষ পর্যন্ত লড়ে যাবো।


সর্বশেষ সংবাদ