৭ বছর পর বৈধতা পেলেন ইবির ১২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৫ মে ২০১৯, ০৫:২৫ PM , আপডেট: ০৫ মে ২০১৯, ০৫:৪৩ PM
দীর্ঘ ৭ বছর পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগের বৈধতা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আগামী অর্থবছর থেকে তাদেরকে ইউজিসির পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ বেতন-ভাতা প্রদান করা হবে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আব্দুল লতিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই অনুমোদন পাওয়ায় এখন থেকে বৃহৎ বাজেট ঘাটতি থেকে মুক্তি পাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির আরেকটি দ্বার উন্মোচিত হলো।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রায় দেড় শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়। ওই নিয়োগে বিজ্ঞাপিত পদের বিপরীতে অতিরিক্ত ১২৩ জনকে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে বিষয়টিতে আপত্তি জানায় ইউজিসি এবং ১২৩ জনের নিয়োগের অনুমোদন স্থগিত রাখে।
এরপর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন খাত থেকে তাদের বেতন-ভাতা দিয়ে আসছিল। এর ফলে প্রতি বছর প্রশাসনের প্রায় ২ কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি হত। দীর্ঘ দিন ধরেই ইউজিসির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের অনুমোদনের দাবি জানিয়ে আসছিল।
সর্বশেষ গত ২৮ এপ্রিল ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমঝোতায় আসে ইউজিসি। আগামী অর্থবছর থেকে তাদের স্বীকৃতি ও নিয়মমাফিক বেতন-ভাতা ও আনুষঙ্গিক ব্যায় মোচনের সিদ্ধান্ত নেয় মঞ্জুরি কমিশন।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি শামছুল ইসলাম জোহা এ বিষয়ে বলেন, ‘এই অনুমোদন আমাদের দীর্ঘদিনের একটি প্রত্যাশা ছিল। এর ফলে শুধু ১২৩ জনই নয়, পুরো বিশ্ববিদ্যালয় একটা বড় সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পাবে। এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে আমরা ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।’
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক ১২৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়োগ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বর্তমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সুদক্ষ এবং আন্তরিক ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতি।
রোববার দুপুরে উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শাহিনুর রহমান ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহাকে এ শুভেচ্ছা জানান তারা। এসময় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।