ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের পুনঃতফসিলের দাবিতে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলন
- জহিরুল কামরুল, প্রদায়ক
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০১৯, ০৯:২৬ PM , আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৯, ১০:০২ PM
তড়িঘড়ি করে ফেনী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ (ফেকসু) নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল বাতিল করে সকল ছাত্র সংগঠন যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, ভোটার নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর দাবীসহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ফেনী কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
সোমবার রাতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ফেনী জেলা শাখা ও কলেজ শাখার যৌথ আয়োজনে শহরের একটি হোটেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এস এম সালাহ উদ্দিন মামুন।
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ আলম মিলন, সহ-সভাপতি আবুল খায়ের লিটন, যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুমন, প্রচার সম্পাদক করিমুল হক সুমন, কলেজ ছাত্রদল নেতা জিল্লুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন স্বপন, মেজবাহ মিয়াজী, ইসরাফিল রায়হান প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্র দল নেতৃবৃন্দ বলেন, ফেনীর প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ফেনী সরকারী কলেজ ছাত্র সংসদ (ফেকসু) নির্বাচনে গত ১৮ মার্চ ফেনী সরকারী কলেজের উপাধ্যক্ষ আবু নছর ভূঞা স্বাক্ষরিত ২৪ মার্চ নোটিশ বোর্ডে নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি লাগানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের যাবতীয় পাওনা ২৪ মার্চের মধ্যেই পরিশোধ করে ভোটার নিবন্ধন হওয়ার নির্দেশ দেন। ওই বিজ্ঞপ্তি সাধারণ শিক্ষার্থীদের নজরে না আসায় অনেকে ভোটার হতে পারেনি। যা পরিকল্পিত ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ বৈধ শিক্ষার্থীদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আরো ৩০ দিন সময় বাড়ানোর জোর দাবি জানান। পাশাপাশি ফেকসু নির্বাচনের তফসিলের বিজ্ঞপ্তিটি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি আকারে প্রচারের দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করে বলেন, সোমবার জেলা ছাত্রদলের একটি প্রতিনিধি দল কলেজ কর্তৃপক্ষ ও ফেকসু নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার নিকট সাক্ষাত করতে গেলে কলেজ ক্যাম্পাসে সরকার দলীয় ছাত্র সংগঠনের নেতারা তাদেরকে বের করে দিয়ে কলেজের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ মনে করেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বার্থ হাসিলের নিমিত্তে কলেজ কর্তৃপক্ষ ফেকসু নির্বাচন আয়োজনের নাটক সাজিয়েছেন। তারা ফেকসু নির্বাচনে পুনঃতফসিলের দাবী জানান।