মারামারি ঠেকাতে গিয়ে হামলার শিকার ৩ ববি শিক্ষার্থী, ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২৫, ০৪:২৫ PM , আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫, ০২:০৫ PM
বাস শ্রমিকদের সাথে থ্রি-হুইলার (মাহিন্দ্রা) শ্রমিকদের মারামারি থামাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বরিশাল–কুয়াকাটা ও বরিশাল–ভোলা মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা। প্রশাসনের আশ্বাস পাওয়ার পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
আজ শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের অবরোধ কর্মসূচির ফলে মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে যায়, যা যাত্রী ও চালকদের চরম ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরে বেলা সোয়া একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ অভিযুক্তদের শনাক্ত করে বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন। এর পর বেলা দেড়টার দিকে মহাসড়কে স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, থ্রি-হুইলারে যেন যাত্রী নিতে না পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন খয়রাবাদ সেতুর ঢালে চেকপোস্ট বসায় রূপাতলী বাসমালিক সমিতি। এ নিয়ে থ্রি-হুইলার চালকদের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বিরোধ তৈরি হয়। বেলা ১১টার দিকে বাস ও থ্রি-হুইলার চালকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা থামাতে এগিয়ে আসেন। তাদের অভিযোগ অনুযায়ী, এ সময় থ্রি-হুইলার চালকরা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান, এতে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিল আজাদ, তরিকুল ইসলাম আজমাইন ও রবিউল ইসলাম আহত হন।
তানজিল আজাদ বলেন, ‘মারামারি দেখে আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি ষাটোর্ধ্ব এক যাত্রীকে থ্রি-হুইলার চালকরা মারধর করছেন। তখন আমি তাকে ছাড়িয়ে দিই। তখন চালকরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন।’
এদিকে শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে জড়িতদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সোনিয়া খান ও বন্দর থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তারা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে দায়ীদের শনাক্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। এরপর বেলা সোয়া একটার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করেন।
প্রক্টর সোনিয়া খান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মারধর করা হয়েছে শুনেই আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত শুনি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলাকারীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছেন। বিচারের আশ্বাস দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়েছেন।’