তিতুমীরের শিক্ষার্থীদের অনশন চলছেই, বিকেলে অবরোধের ঘোষণা
- তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:০৭ PM , আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১:০৭ AM
রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন কর্মসূচি চতুর্থ দিনে গড়িয়েছে। অনশনে বসা অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবুও তারা দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান ধরে রেখেছেন।
আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার মধ্যে তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় গঠনসহ সাত দফা দাবি পূরণ না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আওতাধীন এলাকায় ব্যারিকেড কর্মসূচি শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা।
গতকাল শুক্রবার রাত ১১টায় জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে ঘোষণা করছি, ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) বিকেল ৪টার মধ্যে আমাদের সাত দফা দাবি মেনে না নিলে এবং তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দেওয়া হলে, অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে। এই কর্মসূচির আওতায় রেল ও সড়কপথ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।”
আরও পড়ুন: বেরোবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক সুবিধায় অনিয়ম, বছরে গচ্চা কোটি টাকা
১. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২০২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে।
৪. ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় ‘আইন’ এবং ‘জার্নালিজম’ বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে।
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ফল নিয়ে যা জানা গেল
সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে গত ৫ আগস্টের পর থেকে আন্দোলন করে আসছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে গণস্বাক্ষর, মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান, সড়ক-রেলপথ অবরোধ, ক্লাস বর্জনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিশেষ কমিটিও গঠন করা হয়।
তবে এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া না পেয়ে গত বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল থেকে দাবি আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। যদিও পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নুরুজ্জামান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন এবং তাদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহারের অনুরোধ জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।
এখন পর্যন্ত ১০ জন আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে একজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।