ইবির হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ PM , আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:৫৪ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের অন্তর্ভুক্ত হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব নিয়েছেন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বিবিএ অনুষদের দ্বিতীয় তলায় বিভাগীয় সভাপতির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত বিভাগীয় সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে নবাগত সভাপতির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন সদ্যবিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন।
বিভাগের শিক্ষক এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিবিএ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিন, সাবেক ডিন ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় শিক্ষক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবু সিনা, অধ্যাপক ড. অরবিন্দ সাহা, অধ্যাপক ড. আব্দুস সবুর, অধ্যাপক ড. রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক ইশরাত জাহান, সহযোগী অধ্যাপক আবু জাফর আলী, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামসহ অনুষদের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকরা।
আরও পড়ুন: সেশনজট নিরসনসহ ১০ দাবিতে আন্দোলনে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগের শিক্ষার্থীরা
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ সব সময়ই সুপরিচিত একটি বিভাগ। একাডেমিক কার্যক্রম, শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সবক্ষেত্রেই এই বিভাগের সুনাম রয়েছে। নিয়মানুবর্তিতা, দায়িত্বশীলতা, স্থিতিশীলতা, কর্তব্যবোধ সবসময়ই সদ্য বিদায়ী সভাপতির ভেতরে কাজ করছে। সে সবার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতো, খুব ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতো৷ অত্যন্ত ডায়নামিক এক শিক্ষক, বিভাগের সবদিকে তার নজর ছিল। বিভাগের প্রতি ভালোবাসার অনেক নিদর্শন তার আছে। নবাগত চেয়ারম্যান যেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখে সেই আহ্বান থাকবে নবাগত সভাপতির জন্য আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। তবে আমাদের সহযোগিতা নিতে হলে তাকেও সমান সময় বিভাগে দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: ইবির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠিত
সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। একজন দায়িত্ব পালন করবেন, পরবর্তী সিনিয়র যিনি তিনি তারপর দায়িত্ব নেবেন এটাই নিয়ম। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যে জিনিসটি সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে, সেটা হচ্ছে কম্পিউটার টাইপিং। একজন বিভাগের সভাপতিকে সব সময়ই মিটিংয়ের রেজুলেশন, নোটিশ এবং অন্যান্য বিষয়াবলি টাইপ করতে হয়। এটি করতে প্রচুর সময় চলে যায়, চেয়ারম্যান তার চেয়ার থেকে উঠতেই পারেন না। আমার মতে, প্রশাসনের উচিত টাইপিংয়ের জন্য টাইপিস্ট দেওয়া। এতদিন দায়িত্ব পালনে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ।‘
আরও পড়ুন: শেষ হলো কুয়েট ভর্তি পরীক্ষা
নবনিযুক্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছাত্রের থেকে আমি আজকে সভাপতির দায়িত্ব নিলাম, এটা গর্বের বিষয়। আমার ডিপার্টমেন্ট চালাতে কষ্ট হবে না আশাকরি। এই ফ্যাকাল্টির ডিন আমার ই ডিপার্টমেন্টের৷ এটাও আমার একটা শক্তি। আমরা যারা চাকরি করি সবাই পরিবারের মতো। সবাই এত দিন যেভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আশা করি সামনেও তা অব্যাহত থাকবে।’