চুয়েট সাংবাদিক সমিতির ১৯ বছরে পদার্পণ

চুয়েট সাংবাদিক সমিতির আনন্দ শোভাযাত্রা
চুয়েট সাংবাদিক সমিতির আনন্দ শোভাযাত্রা  © টিডিসি ফটো

‘সময়ের দাবিতে সময়ের সাথে’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পথচলার আঠারো বছর পেরিয়ে উনিশ বছরে পদার্পণ করেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) সাংবাদিক সমিতি। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের তৃতীয় তলায় সেমিনার রুমে ১৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠান আয়োজন করে চুয়েট সাংবাদিক সমিতি। 

শুরুতেই চুয়েট সাংবাদিক সমিতির পক্ষ হতে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গোল চত্বর প্রদক্ষিণ করে ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের সামনে এসে শেষ হয়। তারপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের প্রাঙ্গণে কেক কেটে প্রতিষ্ঠা বার্ষিক অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া।এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম ও ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজি এর পরিচালক অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ। এতে সভাপতিত্ব করেন চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তানভীর আহমেদ চৌধুরী। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূইয়া বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের খুঁটিনাটি উঠে আসে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের হাত ধরেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকরা এক প্রকার বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্পণ হিসেবে কাজ করে। যাদের হাত ধরেই সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের হালচাল। যে একজন শিক্ষার্থী, সেই আবার সাংবাদিক। চুয়েট ক্যাম্পাসের সাংবাদিকদের সাথে প্রশাসনের নিবিড় বন্ধন বজায় রয়েছে। পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে আমরা এই বন্ধনের ধারবাহিকতায় আরো অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই। চুয়েটকে বিশ্বমানের শিক্ষা-গবেষণাবান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়তে চাই। এই কাজে ভূমিকা রাখতে হবে ক্যাম্পাস সাংবাদিকদেরও। তাই আমি চুয়েট সাংবাদিকদের গঠনমূলক মতামত ও ভূমিকা পালন বিশেষভাবে কামনা করছি।’

সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তানবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ২০০৬ সালের এই দিনে চুয়েটপ্রেমী কিছু শিক্ষার্থীদের হাত ধরেই চুয়েট সাংবাদিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। মূলত বিশ্বমঞ্চে চুয়েটকে উপস্থাপন করার প্রত্যয়েই আমাদের এই অগ্রযাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আমরা অন্যায়ের প্রতিবাদ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও চুয়েটের স্বার্থে কাজ করে গেছি। এর জন্য আমাদের পার করতে হয়েছে নানা চড়াই-উতরাই। সাংবাদিক সমিতির প্রাক্তন সদস্যদের দিক নির্দেশনা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা সাফল্যের সাথে দীর্ঘ দেড় যুগ অতিবাহিত করেছি। আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করতে আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী।


সর্বশেষ সংবাদ