শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জন বহিষ্কার 

  © সংগৃহীত

রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজিতে (আইএইচটি) সিট-বাণিজ্য ও এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ ৬ জনকে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। এ সময় তাদের সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার পাশাপাশি ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং হোস্টেলে অবস্থানের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করেছে আইএইচটি কর্তৃপক্ষ। আইএইচটির অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বহিষ্কৃতরা হলেন: আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হলেন আল আমিন হোসেন (ডেন্টাল অনুষদ ২০১৯-২০), মাসুদ পারভেজ (ডেন্টাল বি গ্যালারী ২০২৩-২৪), ফারহান হোসেন (ডেন্টাল বি গ্যালারী ২০২৩-২৪), শাহরিয়ার নাফিজ (ল্যাব এ গ্যালারী ২০২৩-২৪), পারভেজ মোশাররফ (ল্যাব এ গ্যালারী ২০২৩-২৪) ও নিলয় কুমার (রেডিওলোজী এ গ্যালারী ২০২৩-২৪)। এদের মধ্যে আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের (ফার্মেসী) সিফাতকে তিরস্কার ও ভবিষ্যতে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করা হয়েছে।

আর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী (ফার্মেসী) হাসানকে প্রশাসনকে না জানিয়ে অন্য (ছাত্রলীগ সভাপতি) ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেনের জন্য তিরস্কারের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।

শাস্তির নোটিশে জানানো হয়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন প্রথম বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলের সিট দেয়ার নামে অর্থগ্রহণ করেন। অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ সভাপতির কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। এই মর্মে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গত ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নোটিশটি গত ১২ জুন স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ।

এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল আইএইচটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানকে মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় গত ১ মে থেকে আইএইচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করে ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়। অভিযোগ ছিল- হাসান নামের ওই শিক্ষার্থী হোস্টেলের সিটের জন্য আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিনকে ১৬ হাজার টাকা দেন। এরপরেও তিনি হোস্টেলে সিটের ব্যবস্থা করেননি। ঘটনার দুই দিন আগে তিনি সভাপতির কাছে টাকা ফেরত চান। টাকা না দিয়ে সভাপতি তাকে উল্টো হুমকি দেন। সবশেষ গত ২৯ এপ্রিল হাসান প্রথম গ্যালারিতে ক্লাস করছিলেন। ক্লাস শেষে হলে পাঁচ-সাতজন ছেলে এসে তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটায়। হাসানের মতো আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সে সময় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।


সর্বশেষ সংবাদ