দুদকের কাঠগড়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপককে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা সাইদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

অনুসন্ধানের স্বার্থে চার অধ্যাপকের নাম উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছে দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা দুদকের চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তালিকায় বর্ণিত শিক্ষকদের বক্তব্য নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। বর্ণিত শিক্ষকদের তাঁদের নামের বিপরীতে উল্লিখিত তারিখে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানে সহযোগিতা করার জন্য বক্তব্য দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে।

চার শিক্ষক হলেন- অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা, ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান ও জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলাম। 

এর মাঝে আগামী ২২ এপ্রিল অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা ও ফাইন আর্টস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এএইচএম আক্তারুল ইসলামের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে। আর পরের দিন ২৩ এপ্রিল আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো. আনিচুর রহমান ও জীববিজ্ঞান অনুষদ ডিন অধ্যাপক ড. মো. রেজওয়ানুল ইসলামের বক্তব্য গ্রহণ করা হবে দুদক কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ে। 

এর আগে, ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রভাষক নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডে সাক্ষাৎকার হয়। সাক্ষাৎকার শেষে প্রার্থী চূড়ান্ত করার সময় অন্য সদস্যদের সঙ্গে বিভাগের সভাপতি ড. বখতিয়ারের মতবিরোধ দেখা দেয়। তাই চূড়ান্ত স্বাক্ষর না করেই বোর্ড থেকে বের হয়ে যান তিনি। 

এ ঘটনার পর বিভিন্ন সময় ইবি ভিসির দুর্নীতি নিয়ে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপসহ নানা অভিযোগ এনে ২০২৩ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ দেন চাকরিপ্রার্থী শাহবুব আলম। পরে ১ জুলাই অভিযোগকারীর সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে দুদক।


সর্বশেষ সংবাদ