দুই সপ্তাহ পার হলেও হয়নি অবন্তিকার মৃত্যুর তদন্ত প্রতিবেদন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫ AM , আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৮ AM
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় গঠন করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন শিগগিরই পাওয়া যাচ্ছে না। ‘দ্রুততম’ সময়ে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও এরই মধ্যে কমিটির মেয়াদ দুই সপ্তাহ পার হয়েছে।
অবন্তিকার মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, তার মোবাইলে থাকা বিভিন্ন সময়ের স্ক্রিনশট, হোয়াটসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারের কিছু খুদে বার্তার বিষয়ে তথ্য চেয়ে গত সপ্তাহে লিখিতভাবে পুলিশের কাছে চেয়েছে তদন্ত কমিটি।
তথ্যগুলো পাওয়ার পরই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক ও জবি অধ্যাপক জাকির হোসেন। যদিও তথ্য চেয়ে করা এমন কোনো চিঠি এখনও থানায় পৌঁছেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অবন্তিকার পরিবারের বক্তব্য ও তার মোবাইল থেকে ঘটনার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। বাসা থেকে উদ্ধার করা তাঁর মোবাইল ফোন আদালতের অনুমতি নিয়ে ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে।
গত ২২ মার্চ তদন্ত কমিটির সদস্যরা কুমিল্লায় এসে অবন্তিকার মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। পরে তারা কারাগারে থাকা দুই আসামি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে ঘটনার বিষয়ে বক্তব্য নেন।
কবে নাগাদ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হতে পারে প্রশ্নের জবাবে কমিটির আহ্বায়ক বলেন, সময়টা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ আমরা চাচ্ছি, একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস বলেন, অবন্তিকার মোবাইলটি আদালতের অনুমতি নিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হবে। এ প্রক্রিয়া ঈদের পর করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেতে অন্তত ৫-৬ মাস লাগতে পারে বলেও তিনি জানান।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, অবন্তিকার ময়নাতদন্ত প্রতিদেন ও মোবাইলসহ অন্যান্য বিষয়ে তথ্য চেয়ে জবির তদন্ত কমিটির কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে প্রয়োজনীয় সহায়তা করা হবে।
এর আগে জবি ছাত্রী অবন্তিকা গত ১৫ মার্চ রাতে কুমিল্লার ভাড়া বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে তিনি ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জবির সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী রায়হান আম্মান সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ করে যান।
পরদিন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম কোতোয়ালি মডেল থানায় দু’জনকে আসামি করে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা করেন। পরে ডিএমপি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে কুমিল্লা পুলিশে হস্তান্তর করে। বর্তমানে তারা কুমিল্লা কারাগারে আছেন।