যৌন নিপীড়কদের জেল হওয়া উচিত: অধ্যাপক মীজানুর রহমান

অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান
অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান  © ফাইল ছবি

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংঘটিত যৌন নিপীড়নকে ফৌজদারি অপরাধ বলে উল্লেখ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। তিনি বলেছেন, এ ধরনের অপরাধে অভিযুক্তদের জেল হওয়া উচিত। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে ডয়চে ভেলে বাংলার ‘খালেদ মহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মীজানুর রহমান সহ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। ক্যাম্পাসগুলোতে সংঘটিত যৌন নিপীড়ন নিয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

ক্যাম্পাসে সংঘটিত যৌন নিপীড়নের অভিযোগগুলো নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কীভাবে কাজ করেন? উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন,২০০৯ সালের হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী এ ধরনের অভিযোগগুলো পর্যালোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেল আছে, তারা নিয়ে কাজ করেন।

তিনি বলেন, যৌন নিপীড়ন কোনো অ্যাকাডেমিক অপরাধ নয়, এটা একটা ফৌজদারি অপরাধ। যেটা একমাত্র পুলিশের তদন্ত করার ক্ষমতা রয়েছে। এসব অভিযোগে যে পরিমাণ তথ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয়, সেগুলো কিন্তু অনেকক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সেল ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়।

এসব অভিযোগের শাস্তি নির্ধারণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অধ্যাপক মীজান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলের তদন্ত রিপোর্ট সিন্ডিকেটে তোলা হয়। সেখানে অভিযোগে পর্যালোচনার ভিত্তিতে অভিযুক্তের প্রাপ্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়। আমি নিজে উপাচার্য থাকাকালীন এরকম অন্তত তিনটি বড় ধরনের অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছি।

এর আগে, গত ১৫ মার্চ (শুক্রবার) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার আগে তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসে তিনি তার এক সহপাঠী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ করেন।

অবন্তিকাকে নিয়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো দেশ উত্তাল, ঠিক সেই সময়ে মিডিয়ার সামনে আসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি ঘটনা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ১৩তম আবর্তন ব্যাচের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মিম দাবি করেন, শিক্ষক আবু শাহেদ ইমনের কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পরীক্ষায় ফেল করানো হয় তাকে। শিক্ষকের বিরুদ্ধে নিপীড়নের অভিযোগের প্রতিকার না পেয়ে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে আবেদন করেছেন ওই শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ