জবি ট্রেজারারের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তের দাবি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের কোটি টাকা অনিয়ম, দুর্নীতি এবং নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের পক্ষে এ চিঠি পাঠানো হয়।

চিঠিতে কামালউদ্দীন আহমেদকে একজন দুর্নীতিবাজ শিক্ষক আখ্যায়িত করে তার অনিয়ম-দুর্নীতি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ২০১৯ সালে কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসে ব্যাপকভাবে অনিয়ম দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছেন। জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্প স্থাপন কেরানীগঞ্জ এ যুদ্ধাপরাধী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কার্যকর হওয়া আসামি সাকা চৌধুরীর পরিবারের ফার্ম ‘এডিএল’কে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বার বার কাজ পাইয়ে দিতে সহায়তা দেন।

জবির সদ্য প্রয়াত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় থাকাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রশাসনিক কার্যক্রমের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন এবং চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পান। অবৈধভাবে উপার্জিত কোটি কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার জন্য লবিং তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও চিঠিতে বলা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপন প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক কামাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি। এছাড়া তদন্তের মাধ্যমে কামাল উদ্দিন আহমেদের দুর্নীতিসহ তার সব নিয়ম বহির্ভূত তথ্য বেরিয়ে আসবে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক এক রায়ে বর্তমান ট্রেজারার কামাল উদ্দিন আহমেদকে অদক্ষ প্রশাসক হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।  

এদিকে আগামী, ২৬ নভেম্বর জবি কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমেদের চার বছরের মেয়াদ শেষ হবে। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক পদ থেকে অবসর নেন। পরে তাকে জবিতে কোষাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।


সর্বশেষ সংবাদ