ইবিতে ছাত্রী নির্যাতন
তদন্তে প্রাপ্ত নানা দিক পর্যালোচনা করছে গঠিত কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০২:২৮ PM , আপডেট: ২৩ আগস্ট ২০২৫, ১২:৫৮ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে তারা এ আলোচনায় বসেন কমিটির সদস্যরা। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডলের কক্ষে অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে পর্যালোচনায় বসেছেন তারা; দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে আলোচিত এ ঘটনার তদন্তে গঠিত কমিটি।
আজকের পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত রয়েছেন প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষের শর্মা, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুর্শিদ আলম ও সদস্য সচিব অ্যাকাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আলীবর্দী খান।
তদন্তের স্বার্থে গতকাল পর্যন্ত টানা তিনদিন বিভিন্ন পর্যায়ে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন কমিটি। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ঘটনার রাতে হলে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়াদের সঙ্গেও কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত এ কমিটির সদস্যরা। তবে তারা এখনো হলের কোনো সিসিটিভি ফুটেজ পাননি এবং এ নিয়ে শঙ্কা করা হচ্ছে-তা না পাওয়ার।
তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষের শর্মা জানান, আমরা ভুক্তভোগী, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। আমরা পর্যালোচনায় বসেছি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য প্রয়োজনে আবারও ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তদের ডাকা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে ডেকে রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত নবীন ওই ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধর ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তাবাসসুম। নির্যাতনের পরের দিন ভয়ে ক্যাম্পাস থেকে পালিয়ে যান ভুক্তভোগী ছাত্রী।
সে সময় নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী জানিয়েছিলেন, ৪ ঘণ্টা ধরে আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল দিচ্ছিল আর এর ফাঁকে ফাঁকে শারীরিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। নির্যাতনের একপর্যায়ে বিবস্ত্র করে ভিডিওধারণ করা হয়। তখন কাঁদতে কাঁদতে আমি পা ধরে ক্ষমা চাইলেও তারা কোনো কথা শোনেননি। গণরুমে এ সময় উপস্থিত সাধারণ ছাত্রীরাও কোনো কথা বলেননি।