৪৭তম প্রিলির প্রশ্ন আগামীর বিসিএস প্রার্থীদের কী বার্তা দিচ্ছে?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০৫ PM
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে কাট মার্কস নিয়ে চলছে নানা আলোচনা। চাকরিপ্রার্থীদের মতে, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষায় পিএসসি প্রশ্নের ধরনে কিছুটা ভিন্নতা এনেছে। আগের কয়েকটি বিসিএসের তুলনায় এবারের প্রশ্ন ছিল তুলনামূলকভাবে কঠিন, বিশেষ করে বাংলা, বিজ্ঞান, কম্পিউটার ও মানসিক দক্ষতা অংশে। এবার ‘কী বার্তা দিচ্ছে ৪৭তম বিসিএস প্রিলি প্রশ্ন?’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মোহাম্মদ মিরাজ মিয়া।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের পাঠকদের জন্য তার ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
প্রশ্নটা দেখলাম। বিগত কয়েকটা বিসিএসের তুলনায় এবারের প্রশ্ন অনেক কঠিন মনে হয়েছে। কঠিনের মধ্যেও কিছু ক্রাইটেরিয়া থাকে, যেটা কঠিন হলেও শিক্ষার্থীদের জানা গুরুত্বপূর্ণ। অথবা এমন কঠিন যেটা লাইমলাইটে নিয়ে আসা জরুরি যেন এটা নিয়ে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা বৃহৎ পড়াশোনা করে। তবে এবারের প্রশ্নে সেরকম কঠিন ছিল না। যেটা হয়েছে অপরিচিত এবং অগুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন ছিল যেগুলো আসলে একজন বিসিএস ক্যান্ডিডেটের জনার দরকার নেই, কিছু প্রশ্নের মেরিট ছিল না; যেটা আসলে জানতেই হবে। যেহেতু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, অনেক পার্টিসিপ্যান্ট তাই হয়তো এরকম অগুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন রেখেছে।
তবে প্রশ্ন থেকে যে কয়েকটা মেসেজ নেওয়া যেতে পারে:
এক. প্রিলিতে হয়তো কম সংখ্যক পরীক্ষার্থী টেকাবে। আট থেকে দশ হজারের মতো। পিএসসি একটা রোডম্যাপ দিয়েছিল এক বছরে একটা বিসিএস সম্পূর্ণ করবে। ফলে রিটেন যত কমসংখ্যক নিবে তত দ্রুত বিসিএসটা সম্পূর্ণ করতে পারবে; এই ফর্মুলায় যেতে পারে।
দুই. এবারের রিটেন পরীক্ষার প্রশ্নের প্যাটার্নেও পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে সেটার একটা ইঙ্গিত দিয়েছে পিএসসি। এবারের প্রশ্ন পূর্বের ন্যায় গতানুগতিক না হবার সম্ভাবনাই বেশি।
তিন. কঠিন প্রশ্নের মাধ্যমে বিসিএসের প্রতি যে অত্যধিক ঝোঁক সেটিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। বিসিএসের প্রতি সম্পূর্ণ ডেডিকেশন না থাকলে কিংবা নিজের প্রস্তুতি ও যোগ্যতার ঘাটতি রেখে এই চক্রে প্রবেশ করে বছরের পর বছর সময় নষ্ট না করার প্রতি বার্তা দেওয়া হয়েছে।