বিধি সংশোধন নিয়ে সভায় বসেছে পিএসসি

সরকারি কর্ম কমিশন
সরকারি কর্ম কমিশন  © ফাইল ছবি

পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) আওতাধীন নিয়োগ পরীক্ষার বিধি পরিবর্তন নিয়ে সভায় বসেছেন পিএসসি’র শীর্ষ কর্মকর্তারা। রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে এ সভা শুরু হয়।

এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান মোবাশ্বের মোনেম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমাদের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধি সংক্রান্ত বিষয়ে কমিশনের সভা চলছে। নিয়োগ বিধিতে কোনো পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত হলে তা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

পিএসসি সূত্র জানিয়েছে, জনপ্রশান সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা এবং পিএসসি’র অভ্যন্তরীণ আলোচনার প্রেক্ষিতে বিসিএসের ক্যাডার এবং নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধির পরিবর্তন করা হতে পারে। বিশেষ করে নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধি পরিবর্তনের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা হতে পারে।

নাম অপ্রকাশিত রাখার শর্তে পিএসসি’র এক কর্মকর্তা বলেন, নন-ক্যাডার নিয়োগের বিদ্যমান বিধির কারণে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা নিয়োগ বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে উত্তীর্ণ সবাই যাতে অন্তত নন-ক্যাডার পায় সে চেষ্টা করছে পিএসসি। বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সভায় আলোচনার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হন, তারা সবাই মেধাবী। তবে পদ স্বল্পতার কারণে সবাইকে ক্যাডার পদে সুপারিশ করা সম্ভব হয় না। এই প্রার্থীদের যদি নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়, তাহলে দেশের জন্যই উপকার হবে।’

জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশে যা আছে

চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহের শীর্ষে রয়েছে বিসিএস। অথচ এই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি থেকে শুরু করে চূড়ান্ত ফলাফল পেতে অন্তত তিন বছর সময় লাগে। বর্তমান সরকার দীর্ঘ এই প্রক্রিয়া কীভাবে কমানো যায় তার জন্য একটি কমিশন গঠন করেছে। কার্যক্রম যাতে দ্রুত শেষ হয় এ জন্য কমিশন পিএসসি পরীক্ষার বার্ষিক ক্যালেন্ডার নির্ধারণের কথা বলা বলেছে।

এছাড়া সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুত ও কার্যকর করতে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষা এক বছরের মধ্যে শেষ করার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন। কমিশন বলছে, বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া অত্যধিক দীর্ঘ হওয়ায় নিয়োগ থেকে যোগদান পর্যন্ত সময় অনেক বেশি লাগে, যা কমিয়ে আনা প্রয়োজন।

কমিশন মনে করছে, বিসিএস পরীক্ষার দীর্ঘ প্রক্রিয়া সহজতর করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সূচী অনুসরণ করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে সরকারি পরীক্ষায় নিয়োগ প্রক্রিয়াটি আরও দ্রুত এবং কার্যকর হবে।

প্রস্তাবিত নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষার বার্ষিক ক্যালেন্ডার নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। এতে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ, এপ্রিল মাসে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, জুনে মূল লিখিত পরীক্ষা, ডিসেম্বরে ফল প্রকাশ, এবং জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া, এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা, মে মাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন এবং জুনের দ্বিতীয় সপ্তাহে গেজেট প্রকাশ করা হবে। গেজেট প্রকাশের পর জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাজে যোগদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ