শিক্ষককে নিজ বিভাগে ফেরাতে শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

ড. রাহমান চৌধুরী
ড. রাহমান চৌধুরী  © টিডিসি ফটো

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ড. রাহমান চৌধুরীকে তার নিজ বিভাগে ফেরানোর দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে স্মারকলিপি প্রদানের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন তারা।

জানা যায়, ২০২০ এর পহেলা নভেম্বর ড. রাহমান চৌধুরীকে রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরের বছর জানুয়ারিতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ঝড়ে উপড়ে গেছে বিজ্ঞানী নিউটনের সেই আপেল গাছ!

শিক্ষার্থীদের ভাষ্যমতে, দায়িত্ব পালনের এক বছরেই শিক্ষার্থীদের যথেষ্ট আস্থা অর্জন করেন তিনি। বিভাগের উন্নতি, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে যুক্তকরণ, পড়াশোনার মান বৃদ্ধি সহ নানা অবদান রাখেন। কিন্তু এক বছর শেষ হতে না হতেই গত ডিসেম্বরে তাকে বাংলা বিভাগে সরিয়ে নেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে অবগত ছিলেন না। সম্প্রতি, তাকে সরিয়ে নেওয়ার খবরটি জানাজানি হলে হতাশায় ভেঙে পড়েন তারা। তারা জানান, ড. রাহমান চৌধুরী রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগে দায়িত্ব পালনের আগে বিভাগীয় প্রধান ছিলেন অধ্যাপক নজরুল ইসলাম। তিনি এবং বিভাগের শিক্ষকদের কার্যক্রমে হতাশ ছিলেন ছিলেন তারা।

ড. রহমান চৌধুরী দায়িত্বে আসার পর থেকেই তারা যথেষ্ট উন্নতি করতে পেরেছেন। আনন্দের সাথে পড়াশোনা কার্যক্রমে তারা খুবই উদ্বুদ্ধ হতে পারতেন। উনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রতি যেমন যত্নবান ছিলেন, তেমনি দায়িত্বের সাথে কাজ করতেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ২১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আসিফ ইকবাল বলেন, গত ডিসেম্বরে রাহমান স্যারকে আমাদের বিভাগ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়। যা রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে মেনে নেয়া কষ্টকর। কেননা, তিনি ছিলেন শিক্ষার্থীবান্ধব একজন চেয়ারম্যান। তার কাজকর্ম ছিল শিক্ষার্থী এবং বিভাগের উন্নয়নের জন্য৷ বর্তমান চেয়ারম্যান স্যারও ব্যক্তি এবং শিক্ষক হিসেবে যোগ্যতাসম্পন্ন। কিন্তু রাহমান স্যার কিছুটা ব্যতিক্রম। তাকে বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি শক্ত হাতে বিভাগকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবেন।

ড. রাহমান চৌধুরীর এমন চলে যাওয়ায় ২৩তম ব্যাচের ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী আয়েশা আক্তার বলেন, ড. রাহমান চৌধুরী স্যার রাজনীতি ও প্রশাসন বিভাগের গর্ব ছিলেন। অতি অল্প সময়ে তিনি যেভাবে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে বিভাগকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, তা আমাদের আনন্দিত করেছিল। কিন্তু হঠাৎ তার এই অপসারণ আমাদের হতাশায় নিমজ্জিত করেছে। আমরা চাই তিনি আমাদের বিভাগের দায়িত্ব পুনরায় গ্রহণ করে বিভাগকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের টিকার সনদ আছে কিনা, দেখবে কে?

এ বিষয়ে ড. রাহমান চৌধুরী বলেন, নিয়মানুযায়ী এভাবে এক বিভাগ থেকে আরেক বিভাগে স্থানান্তরিত করার এখতিয়ার নাই। যদি কোনো শিক্ষক ওই বিষয়ে দক্ষ হন এবং তিনি নিজেও স্থানান্তরে রাজি থাকেন, তাহলে সম্ভব। যেহেতু আমার শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে এবং আমিও চাই, সেক্ষেত্রে বর্তমান উপাচার্য এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিবেন বলেই আমি প্রত্যাশা করি।

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, আমি স্মারকলিপি পেয়েছি। এটা যেহেতু আগের প্রশাসনের সিদ্ধান্ত, তাই আমি একা এখনই কিছু বলতে পারবো না। আমি সবার সাথে বসবো, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেখবো এবং সবকিছু পর্যালোচনা করার পর একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence