এশিয়ান ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মিজান হত্যার বিচার দাবি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১০:৩৪ PM , আপডেট: ০৩ মে ২০২১, ১২:০৬ PM
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশে’র মেধাবী শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিজানের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘লক্ষ্মীপুর আলোকিত প্রজন্ম’ নামে একটি সংগঠনের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মিজানের বড় ভাই আরিফ হোসেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট সুমন মনির, অর্পন বাংলাদেশের সদস্য আকরাম আহমেদ, সুমন মোল্লা ফয়সাল, মঞ্জু ভূঁইয়া, রাসেল হোসেন, আব্দুর রহমান, শেখ ফারুক, আতিকুর রহমান মাসুদ, শাকিল হোসেন, হাসিবুল নাঈম, খালেদ শুভ, মনির হোসেন, শরিফ হোসেন, রেদোয়ান, আল আমিন, সাকিব আদনানসহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মিজান খুবই বিনয়ী ছিলেন। তার সঙ্গে কারো কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ ছিল না। আমরা অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।
বক্তারা বলেন, চারদিকে ধর্ষণ, অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় সমাজে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এখনই দ্রুত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক আন্দোলন হলে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তাই চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
গত ৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে হাতিরঝিল সংলগ্ন কারওয়ান বাজার রেলক্রসিংয়ের ফ্লাইওভার থেকে মিজানের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় নিহতের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পুলিশ তদন্ত করছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘নিহত মিজান লেখাপড়ার পাশাপাশি বনানীর একটি ফোর স্টার হোটেলে সিনিয়র ওয়েটার হিসেবে চাকরি করতেন। ৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হোটেলে ডিউটি করে শেওড়ার বাসার দিকে রওনা হন। তিনি সিএনজিতে ওঠার পর দুই ছিনতাইকারী সিএনজিতে উঠে পড়ে। তার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ও ব্যাংকের এটিএম কার্ড অস্ত্র ঠেকিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। সিএনজি হাতিরঝিল এলাকায় ঢুকে ফ্লাইওভারে ওঠে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা তাকে গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে তাকে ফ্লাইওভারে ফেলে চলে যায়।’
ছিনতাইকারীরা তার মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এরপর পথচারীদের কাছে খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১টার দিকে কারওয়ান বাজার রেলক্রসিং বরাবর জায়গা থেকে মিজানের লাশ উদ্ধার করে। ভোররাতে মিজানের ভাইয়েরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। ৬ জানুয়ারি সকালে মিজানের ভাই আরিফ হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হাতিরঝিল থানা পুলিশ ইতোমধ্যে তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে। তারা মিজানকে হত্যার পর তার মোবাইল ফোন ও টাকা নিয়ে পালিয়েছিল। এই চক্রটি পেশাদার ছিনতাইকারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা নিহত মিজানের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছি। আসামিদের বুধবার আদালতে নেওয়া হবে। তবে আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি তিনি। ছিনতাইকারীরা ফ্লাইওভারকে লাশ ফেলার নিরাপদ জায়গা মনে করে সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে অগ্রগতি জানানো হবে।’