বিশ্ববিদ্যালয় বাসে হামলায় রক্তাক্ত শিক্ষার্থীরা, নীরব দর্শক পুলিশ!
- শিহাব উদ্দিন
- প্রকাশ: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৭:৩৩ PM , আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৯, ০৯:৫৭ PM
অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকালে তুরাগ পারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ৭-৮ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার নাম আরমান আহাদ। তাকে ঢাকার সিএমএইচের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় আহত অন্যান্যদের ইস্ট-ওয়েস্ট মেডিকেল এবং বাংলাদেশ হসপিটালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে উত্তরা থেকে বিজিএমইএ এর একটি বাস উত্তরা হাউস বিল্ডিং এর সামনে থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন বিজিএমইএ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় রাস্তায় একটি পিকাপ শিক্ষার্থী বহনকারী বাসকে অভারটেক করতে গিয়ে বাসের লুকিং গ্লাস ভেঙ্গে ফেলে। পরে ছাত্ররা পিকাপের চালকের কাছে থেকে জরিমানা আদায় করে।
এই ঘটনা পিকাপ চালক তাদের শ্রমিক ইউনিয়ন কে জানালে শ্রমিকরা কামারপাড়া এলাকায় একত্রিত হয়ে দা-বটি নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায়। এছাড়া রাস্তায় চলন্ত ইউনিভার্সিটির বাস সহ ৩/৪টি বাস ভাংচুর করে। বাসের অবস্থানরত যাত্রীদের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রাইয়ান রেজা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ইউনিভার্সিটির বাসের গ্লাস ভাঙায় আমরা পিকাপ ভ্যানের চালকের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করি। এতে শ্রকিরা সংঘবদ্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। তুরাগ থানার সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটলেও পুলিশকে নিরব থাকতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরেক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না বলেন, যখন হামলা হচ্ছিল তখন পুলিশ দারিয়ে দারিয়ে তামাশা দেখছিল। হামলায় শিশু এবং মহিলারাও ছিল বলে জানান তিনি। হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করবে তারা।
শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তুরাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগেও বিজিএমইএ এর শিক্ষার্থীদের সাথে মোহনা বাসের শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল।