এনইউবিতে ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বে টেক্সটাইল ও সবুজ অর্থনীতি বিষয়ক সেমিনার

  এনইউবিতে  'থ্রি জিরো' তত্ত্ব শীর্ষক সেমিনার
এনইউবিতে 'থ্রি জিরো' তত্ত্ব শীর্ষক সেমিনার  © সংগৃহীত

নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ‘The Three Zero Theory and Its Transformational Impact on Bangladesh’s Textile Industry’ শীর্ষক সেমিনার। শনিবার (১২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে এ সেমিনবারের আয়োজন করা হয়।   

সেমিনারে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রস্তাবিত ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্ব—শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ—এর বাস্তবায়ন এবং তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সেমিনারে, H&M এর সাসটেইনেবিলিটি এক্সপার্ট পার্থ রায় বলেন, আমরা দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্যে ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বকে আমাদের উদ্যোগের ভিত্তি হিসেবে নিচ্ছি। বাংলাদেশের টেক্সটাইল খাতে এই তত্ত্ব বাস্তবায়ন করা গেলে বৈশ্বিক পর্যায়ে আমরা নেতৃত্ব দিতে পারব। তবে বাস্তবায়নের পথে নীতিগত সহায়তা, প্রযুক্তিগত সমন্বয় ও মানবসম্পদের দক্ষতা বৃদ্ধি জরুরি।

GSCS ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের টেকনিক্যাল ম্যানেজার সাফায়েত বিন ইসলাম বলেন, সাসটেইনেবিলিটি এখন আর বিকল্প নয়, এটি বাধ্যতামূলক বাস্তবতা। শূন্য কার্বন নির্গমনের লক্ষ্যে টেক্সটাইল প্রসেসিংয়ে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি জরুরি। পরবর্তী প্রজন্মের টেক্সটাইল প্রযুক্তি আরও টেকসই হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, দারিদ্র্য ও বেকারত্ব দূর করতে হলে আমাদের অর্থনৈতিক কাঠামোতে মৌলিক পরিবর্তন আনতে হবে। থ্রি জিরো তত্ত্ব শুধু তাত্ত্বিক নয়, বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগযোগ্য একটি রূপান্তরমূলক দর্শন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার মাধ্যমে এর বাস্তব রূপরেখা তৈরিই হতে পারে প্রথম ধাপ।

সেমিনারে এনইউবি টেক্সটাইল বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে টেক্সটাইল বর্জ্য পানি পরিশোধন করে পুনঃব্যবহারে তারা কাজ করছে। পরিবেশবান্ধব ডাইং, এনার্জি সাশ্রয়ী টেকনোলজি ও আগুন প্রতিরোধী-তাপ নিরোধক কম্পোজিট তৈরিতে গবেষণা চলছে।

সেমিনারের শেষের দিকে, টেক্সটাইল বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক জি এম ফয়সাল একটি থ্রি জিরো ভিত্তিক গবেষণা মডেল প্রস্তাব করেন, যেখানে দক্ষ মানবসম্পদ, গ্রিন এনার্জি ও বর্জ্য পুনর্ব্যবহারকে মূল উপাদান হিসেবে দেখানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘একটি শিশুর জন্য বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তোলাই আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য।’ 


সর্বশেষ সংবাদ