‘জুলাই গণহত্যা ২০২৪’ নিয়ে এনএসইউতে আইসিটিবির গণশুনানি

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ)
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ)  © টিডিসি ফটো

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘জুলাই গণহত্যা ২০২৪’ সম্পর্কিত প্রমাণ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশ (আইসিটিবি) আয়োজিত এই গণশুনানি বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) এনএসইউর অডি-৮০১ হলে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাক্ষ্য গ্রহণ, প্রমাণ পর্যালোচনা ও ঘটনার তদন্ত পরিচালনা করা হয়।  

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ ও ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবদুর রব খান এবং রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আহমেদ তাজমীন।

এতে আরও অংশ নেন প্রধান প্রসিকিউটর (অ্যাটর্নি জেনারেল) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী মনোয়ার হোসেন তামিম, প্রসিকিউটর বি. এম. সুলতান মাহমুদ, প্রসিকিউটর মো. শহিদুল ইসলাম সরদার, প্রসিকিউটর ফারুক আহমেদ, প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রসিকিউটর জেনারেল মো. সাইমুম রেজা তালুকদার, প্রসিকিউটর এস. এম. মইনুল করিম, প্রসিকিউটর শাইখ মাহদি, প্রসিকিউটর তারেক আবদুল্লাহ, প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা এবং প্রসিকিউটর মো. হাসানুল বান্না।

শিক্ষার্থীদের প্রতি তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপনের আহ্বান জানিয়ে এনএসইউ উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল হান্নান চৌধুরী বলেন, জুলাই গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে এনএসইউ সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। এই উদ্যোগের জন্য আমরা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই।

প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, অপরাধীরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন, তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। গণশুনানিতে পাওয়া তথ্যপ্রমাণ বিচার প্রক্রিয়া তরান্বিত করবে।

শুনানিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জুলাই-আগস্টে সংঘটিত নির্যাতনের ঘটনা বর্ণনা করেন। তারা বলেন, ওই সময় মাঠে পুলিশের গুলি ও নির্যাতনের পাশাপাশি ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমণের শিকার হন। পুলিশ অনেককে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে নির্যাতন চালায় এবং পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে।  

গণশুনানির মূল লক্ষ্য ছিল ভুক্তভোগীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা। এতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, নথিপত্র পর্যালোচনা ও বিশেষজ্ঞদের বিশ্লেষণ উপস্থাপন করা হয়।  

শুনানিতে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।


সর্বশেষ সংবাদ